তাবলিগ জামাতের ৯৬০ বিদেশি নাগরিককে ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
তাবলিগ জামায়াতের কাজকর্মে জড়িত থাকা ৯৬০ বিদেশি নাগরিককে ১০ বছরের জন্য ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে আজ (বৃহস্পতিবার) নবভারত টাইমস ওই তথ্য জানিয়েছে।
বিদেশি নাগরিকরা টুরিস্ট ভিসায় ভারতে এসে গত মার্চে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে তাবলীগের কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ইতোমধ্যেই ওই বিদেশি নাগরিকদের ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে।
এরআগে দিল্লি পুলিশ ওই বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা সকলেই ভিসা আইন লঙ্ঘন করেছে। সেজন্য সরকার ভিসা বাতিল করে সমস্ত অভিযুক্তকে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করা হয়েছে।
বিদেশি তাবলিগ সদস্যদের বিরুদ্ধে মহামারী আইন লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন গুরুতর ধারায় মামলা দায়ের করে তাদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। চার্জশিটে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তারা দেশে মহামারী ছড়িয়ে দেওয়ার মতো অপকর্ম করেছে, যা বহু নিরীহ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
বিদেশি তাবলিগ সদস্যদের ভিসা বিধি লঙ্ঘন, মহামারী আইন লঙ্ঘন, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন লঙ্ঘন, বিপজ্জনক রোগের সংক্রমণের ক্ষেত্রে অবহেলার অভিযোগসহ কোয়ারেন্টাইন বিধি অনুসরণ না করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যে গত মার্চে তাবলিগি জামায়াতের বিপুলসংখ্যক লোক দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে জড়ো হয়েছিলেন। এসময় তাদের কারণে, করোনা ভাইরাস অন্যদের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ করে গণমাধ্যমে ব্যাপক অপপ্রচার চলে। একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতারও তাবলিগ জামাত সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত এপ্রিল মাসে তাবলিগ জামায়াতের ৯৬০ বিদেশি নাগরিককে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করেছিল। এছাড়াও, তাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছিল। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দিল্লি পুলিশ এবং অন্যান্য রাজ্যের পুলিশকে তাদের নিজ এলাকায় থাকা বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন এবং বিদেশি নাগরিক আইনের অধীনে ব্যবস্থা নিতে বলেছিল।#
পার্সটুডে/এমএএইচ/আবুসাঈদ/৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।