কে ‘হালাল’ গোশত খাবেন এর ফয়সালা আমরা করব না : সুপ্রিম কোর্ট
https://parstoday.ir/bn/news/india-i83808-কে_হালাল’_গোশত_খাবেন_এর_ফয়সালা_আমরা_করব_না_সুপ্রিম_কোর্ট
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে কে ‘হালাল’ গোশত খাবেন, কে ঝাটকা গোশত খাবেন এর ফয়সালা আমরা করব না। ‘হালাল পদ্ধতি’ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘অখণ্ড ভারত মোর্চা’ নামের একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠনের আবেদনের শুনানিতে আজ (সোমবার) সুপ্রিম কোর্ট এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে।
(last modified 2025-09-26T18:07:30+00:00 )
অক্টোবর ১২, ২০২০ ২০:৩৪ Asia/Dhaka
  • ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
    ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে কে ‘হালাল’ গোশত খাবেন, কে ঝাটকা গোশত খাবেন এর ফয়সালা আমরা করব না। ‘হালাল পদ্ধতি’ নিষিদ্ধের দাবি নিয়ে ‘অখণ্ড ভারত মোর্চা’ নামের একটি দক্ষিণপন্থী সংগঠনের আবেদনের শুনানিতে আজ (সোমবার) সুপ্রিম কোর্ট এমনটাই জানিয়ে দিয়েছে।

একইসঙ্গে আবেদনকারীর ‘আবেদন অভিসন্ধিমূলক’ বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্ট এটি খারিজ করে দিয়েছে।

‘অখণ্ড ভারত মোর্চা’র দাবি,  ঝটকা পদ্ধতিতে ‘এক কোপে’ই জীবন শেষ হয়ে যায় পশুর। কিন্তু ‘হালাল’ পদ্ধতিতে যন্ত্রণা পেয়ে মরতে হয়। হালালের নামে এই যন্ত্রণাদায়ক হত্যা চলতে দেওয়া যায় না। তাদের দাবি, নিরামিষ ভোজনই সবচেয়ে ভালো। কিন্তু তা সত্ত্বেও যদি গোশত খেতেই হয় তাহলে  কমপক্ষে প্রাণীদের প্রতি নিষ্ঠুরতা হওয়া উচিত নয়। ‘হালাল’ একটি নিষ্ঠুর   পদ্ধতি। সেজন্য এই জাতীয় সমস্ত পদ্ধতি বন্ধ করা উচিত।

কিন্তু তাদের এ ধরণের সাফাই খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কিসান কৌললের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারপতির সমন্বিত বেঞ্চ। তারা সাফ জানিয়ে দেন, মানুষের খাদ্যাভ্যাস নিয়ে নাক গলাতে পারে না আদালত।

বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী বলেন,  ‘কে নিরামিষ খাবেন আর কে আমিষ খাবেন, তা আদালত ঠিক করে দিতে পারে না। যাঁরা হালাল করা গোশত খেতে চান, খেতে পারেন। যাঁরা ঝটকা গোশত খেতে চান, খেতে পারেন।’

পশুদের উপরে নির্মম অত্যাচার প্রতিরোধী আইনের ২৮ নম্বর ধারায় বলা রয়েছে, বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী পশু জবাইয়ের যে আলাদা আলাদা পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো অপরাধ বলে গণ্য হবে না। অর্থাৎ মুসলিমদের হালাল পদ্ধতিতে জবাই এবং হিন্দুদের ঝটকা পদ্ধতিতে জবাইয়ের প্রথাকে অপরাধের বাইরে রাখা হয়েছে।

সাবেক বিজেপি নেতা বৈকুণ্ঠলাল শর্মা ১৯৯৮ সালে ‘অখণ্ড ভারত মোর্চা’  সংগঠন গঠন করেন। ইতোপূর্বে তাদেরকে কথিত লাভ জিহাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শামিল হওয়ার পাশাপাশি, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার বিরুদ্ধে পথে নামতে দেখা গেছে।#

পার্সটুডে/এমএএইচ/মো.আবুসাঈদ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।