ডিসেম্বর ২৯, ২০২০ ১৫:২৫ Asia/Dhaka

প্রিয় পাঠক/শ্রোতা! ২৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে আপনাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতেই ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান বাংলা দৈনিকের গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিরোনাম তুলে ধরছি।

প্রথমে বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ৩০০ টাকায় বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা-দৈনিক ইত্তেফাক
  • গণতন্ত্র এগিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন ভোটাররা: ওবায়দুল কাদের -দৈনিক সমকাল
  • শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে বলতেন জবর কাজ করেছ- ডা. জাফরুল্লাহ-কালের কণ্ঠ
  • শাহেদ-সাবরিনা, পাপিয়াদের পতন সিনহা-রায়হানে কেঁদেছে দেশ। -মানবজমিন
  • একাদশ সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি কাল আ’লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি-যুগান্তর
  • নোটিশ পেয়েও দুদক কার্যালয়ে যাননি পিকে হালদারের ‘বান্ধবী’-বাংলাদেশ প্রতিদিন

ভারতের শিরোনাম:

  • কোভিড কালে রাজনীতি,কোভিড নিয়ে রাজনীতি -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠকের দিন বদল, বছর শেষে কি মিটবে কৃষক বিক্ষোভ? -সংবাদ প্রতিদিন
  • ব্যস্ত রাস্তায় পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে, বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ -দৈনিক আজকাল

শ্রোতাবন্ধুরা! এবারে চলুন বাছাইকৃত কয়েকটি খবরের বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

২৪ টি পৌরসভা ভোট নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাকের খবরের শিরোনাম-‘ভোটার উপস্থিতি ভালো, নির্বাচন সাকসেসফুল’ বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত পৌরসভা নির্বাচন ‘সাকসেসফুল’ হয়েছে বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। মানবজমিনের খবর-প্রথম ধাপের নির্বাচনে ২৪টি পৌরসভার মধ্যে ২৩টির ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ভোট শেষ হওয়ার কিছু আগে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনের মেয়র পদের ফল স্থগিত করা হয়েছে। ঘোষিত ২৩ পৌরসভার ফলাফলে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী ১৮টি, বিএনপি ২টি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন ৩টিতে। গতকাল সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ২৪টি পৌরসভাতেই ভোট নেয়া হয়েছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূতি কাল-আ’লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি-দৈনিক যুগান্তর

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি আগামীকাল ৩০ ডিসেম্বর। ২০১৮ সালের এইদিন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে।

নির্বাচনে বিএনপির চরম ভরাডুবি হয়। কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল বর্জন করে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানায় দলটি। দিনটিকে আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ ও বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে মাঠে থাকার ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকটি বামপন্থী দলও ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করবে।

দিনটিকে কেন্দ্র বড় দুই দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণায় বছরের শেষদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। তবে নির্বাচনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে রাজপথে কেউ যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে ব্যাপারে সক্রিয় রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে।

অ্যান্টিবডি কিট প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ-শেখ মুজিব বেঁচে থাকলে বলতেন জবর কাজ করেছ-দৈনিক কালের কণ্ঠ

গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সারা বিশ্বে আমরাই প্রথম অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছিলাম। আজ শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতেন—জাফরুল্লাহ, জবর কাজ করেছ, কিন্তু সরকার আমাদের প্রতিটি পদে কাঁটা বিছিয়েছে। সরকার আমাদের কন্ডিশন দিল যে এই কিট আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। এতে আরো তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। এমন নিয়ম থাকলে বাংলাদেশে ওষুধনীতি হতো না।’

৩০০ টাকায় বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা-দৈনিক ইত্তেফাক

বিদেশগামী কর্মীরা এখন থেকে ৩০০ টাকায় করোনা পরীক্ষা করতে পারবেন। সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) বিদেশগামী কর্মীদের করোনা পরীক্ষার ফি ৩০০ টাকা পুন:নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ। তবে শুধুমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্টকার্ড বাহকরা এই সুবিধা পাবেন।

আইন আদালতের খবর-করোনায় ভুয়া প্রতিবেদন দেয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে জামিন দেননি হাইকোর্ট।   যুগান্তরে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে।

আর সালতামামি- সম্পর্কিত খবরে দৈনিক মানবজমিনের খবর-শাহেদ-সাবরিনা, পাপিয়াদের পতন সিনহা-রায়হানে কেঁদেছে দেশ। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে,

বছরের শুরুতে ধর্ষণের ঘটনা মহামারি আকার ধারণ করেছিল। বছরের শেষে অবশ্য এই মহামারির রাশ টানা গেছে নানা কঠোর ব্যবস্থা নেয়ায়। করোনা মহামারির শুরুর পর রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ করিম ও চিকিৎসক ডা. সাবরিনা চৌধুরীদের প্রতারণার কাণ্ডে হতবাক পুরো দেশ। যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার হেরেমখানার তথ্য প্রকাশের পর তা রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল ঝড় তোলে। করোনা মহামারির মধ্যেই কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ড কাঁদিয়েছে পুরো দেশবাসীকে। সিলেটে পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যার ঘটনাও দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় তোলে।

সিনহা হত্যাকাণ্ড: ৩১শে জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ নিহত হন। এ ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।এ ঘটনায় চারটি মামলা হয়। তিনটি মামলা করে পুলিশ বাদী হয়ে সিনহা ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে। আর সিনহার বোন   শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে ৫ই আগস্ট টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে এই চারটি মামলার তদন্ত করে ১৩ই ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে র‌্যাব। এরমধ্যে নয়জন টেকনাফ থানা পুলিশের, তিনজন এপিবিএন’র বরখাস্তকৃত সদস্য এবং তিনজন বেসামরিক ব্যক্তি। মামলার তদন্ত করেন র‌্যাব’র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খায়রুল ইসলাম। দীর্ঘ তদন্তের পর তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগ পত্রে টেকনাফ থানার সাবেক বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে উল্লেখ করেছে।

ডা. সাবরিনার করোনা টেস্ট জালিয়াতি: চিকিৎসক সংগঠনের নেতা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের বশ করে জেকেজি হেল্‌থ কেয়ার নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষার অনুমতি নিয়েছিলেন জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের কার্ডিয়াক সার্জন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। কোনোরকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা ছাড়াই মানুষকে জাল সনদ দিয়ে প্রায় আট কোটি হাতিয়ে নিয়েছিলেন এই দম্পতি। বিনামূল্য করোনা পরীক্ষার অনুমতি থাকলেও জুনের শেষদিকে অভিযোগ আসে বুকিং বিডি ও হেল্‌থকেয়ার নামে দু’টি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল জেকেজি। নমুনা পরীক্ষা না করে রোগীদের ভুয়া সনদও তারা দিচ্ছিলেন। এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২শে জুন জেকেজি হেল্‌থ কেয়ারের সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ক্যাসিনো হোতা এনু-রূপনের বাসায় টাকার খনি: ২৫শে ফেব্রুয়ারি ক্যাসিনো কাণ্ডে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক এনু ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়ার ঢাকার ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্র্রিটের ১১৯/১ মমতাজ ভিলা নামের একটি বাসার নিচতলায় অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে র‌্যাব তাদের বাসার পাঁচটি লকার থেকে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ ৬০০ টাকা (১২ বস্তা), ১ কেজি স্বর্ণ, ৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার এফডিআরসহ বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করে র‌্যাব। অভিযানের পর মনে হয়েছে এটি কোনো বাসা নয় যেন বড় কোনো ব্যাংকের শাখা।বহুরূপী রিজেন্ট শাহেদ: রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদ করিমের প্রতারণা দেখে স্তম্ভিত হয়েছিলেন দেশবাসী। বহুরূপী এই সাহেদ টেলিভিশন টকশোতে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন অপরাধ, দুর্নীতি, রাজনীতি নিয়ে কথা বলতো। নিজেকে ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে দাবি করতেন। করোনা পরীক্ষার ভুয়া প্রতিবেদন নিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ও নানা প্রতারণার অভিযোগে গত ৬ ও ৭ই জুলাই উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতাল এবং রিজেন্ট গ্রুপের অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। এটি করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল ছিল অথচ হাসপাতালটির কোনো লাইসেন্সই ছিল না। ওই অভিযানে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ নানা অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখা বন্ধ করে দেয়া হয়। হাসপাতালে অভিযানের পরপরই লাপাত্তা হন শাহেদ। কিছুদিন পর সাতক্ষীরার দেবহাটা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।যুব মহিলা লীগ নেত্রী পাপিয়াকাণ্ড: ২২শে ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাব। সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা পাপিয়া রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গড়ে তুলেছিলেন পাপের সাম্রাজ্য। অবৈধ-অনৈতিক ব্যবসার মাধ্যমে কামিয়ে নিয়েছিলেন কোটি কোটি টাকা। যুব মহিলা লীগ নেত্রীর পরিচয়ে অভিজাত ব্যক্তি ও  রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে হেন অপরাধ নেই যা পাপিয়া করেননি। বিয়ের পর স্বামী মফিজুর রহমান সুমনের হাত ধরে রাজনীতি ও অপরাধকাণ্ডে জড়ান পাপিয়া। মাসের পর মাস ব্যবহার করেছেন পাঁচ তারকা হোটেলের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুট। চলাফেরা করতেন সামনে পিছনে গাড়ির বহর নিয়ে। প্রভাবশালী অনেক রাজনীতিকের সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগে তাদের সঙ্গে ছবি তুলে প্রকাশ করেছেন নানা মাধ্যমে। অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা থেকে শুরু করে মাদক ব্যবসা, জাল নোটের ব্যবসা, তদবিরবাজি, চাঁদাবাজি, জিম্মি করে টাকা আদায়, নারীদের দিয়ে অনৈতিক ব্যবসা, অশালীন ভিডিও দিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং, অন্ধকার জগতের সব পথেই পা দিয়েছেন তিনি। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন অপরাধ জগতের রানী। বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট করেছেন। বিদেশে টাকা পাচারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন।এমসি কলেজে গৃহবধূ গণধর্ষণ: ২৫শে সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী কর্তৃক গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ (২১)। ছাত্রাবাসের আঙ্গিনায় স্বামীকে আটকে রেখে প্রাইভেটকারের ভেতর ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণ করা হয়। পুলিশ নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা: মাত্র ১০ হাজার টাকা না পেয়ে ১১ই অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে অমানবিক নির্যাতন করেন এসআই আকবর ভূঁইয়াসহ আরো কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। 

টাকার কুমির স্বাস্থ্যর গাড়িচালক মালেক: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা আব্দুল মালেক (৬৩) গাড়িচালক হয়ে টাকার কুমির হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গাড়ি ব্যবহার করতেন মালেক। প্রভাবশালী এই গাড়িচালক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম করে শ’ শ’ কোটি টাকার মালিক। ২০শে সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের গাড়িসহ আরও তিনটি প্রকল্পের গাড়ি নিজের কব্জায় রেখেছিল। অধিদপ্তরের নিয়োগ বাণিজ্য থেকে শুরু করে ক্রয়, টেন্ডারবাজি ছিল তার নিয়ন্ত্রণে।

নোটিশ পেয়েও দুদক কার্যালয়ে যাননি পিকে হালদারের ‘বান্ধবী’-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এনবিআর গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক এমডি পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার) 'বান্ধবী' অবন্তিকা বড়াল দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ডাকে সাড়া দেননি। নোটিশ পাওয়ার পরও তিনি হাজির হননি।

মামলার আলোচিত আসামি পিকে হালদারের সঙ্গে যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশে বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে অবন্তিকার বিরুদ্ধে।

ডিএসসিসি’র সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা-মানবজমিন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট ব্লক-২ দোকানের বৈধতা দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগে মার্কেটের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু এ মামলা করেন। এতে আরও ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে এ মামলাটি করা হয়।  

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

কোভিড কালে রাজনীতি, কোভিড নিয়ে রাজনীতি-দৈনিক আনন্দবাজার

জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রায়-লন্ডভন্ড। একটা বছর বদলে দেয় অনেক কিছু। কিন্তু এমন বদলের বছর আগে আসেনি! সেই বদলের ছাপ রাজনীতিতেও। কিন্তু কতটা? কী বদলাল আর কীসে ছাপ পড়ল না অতিমারির ছোবলের?

করোনা পর্বের বর্ষপূর্তির ঠিক আগে ভোট রাজনীতির দুটো বৈতরণী সফল ভাবে পার হল। একটা আমেরিকায়। আর একটা বিহারে। আমেরিকা অনেক দূর। ঘরের পাশের ‘আরশিনগর’ বিহারেই চোখ রাখা যাক।দৃশ্য ১: মাঠের একধারে বড় মঞ্চ। স্টার নেতা বক্তৃতা দিচ্ছেন। রয়েছেন দল আর জোটের তাবড় নেতারা। দূরত্ব-মাস্ক-স্যানিটাইজার বিধি পালন ‘পারফেক্ট’ না হলেও মোটামুটি।

দৃশ্য ২: নেতার মঞ্চের সামনে ব্যারিকেড। তার ওপারে বিশাল মাঠ। থিকথিক করছেন মানুষ। মাটিতে কেউ বাবু হয়ে বসে, কেউ হাঁটু মুড়ে। অধিকাংশ গরিব বা নিম্নবিত্ত। বেশিভাগেরই মুখে মাস্ক নেই। একের সঙ্গে অন্যের দূরত্ব নেই। তবে তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা আছে বলেও মনে হচ্ছে না। মাঠ টহল দিচ্ছেন পার্টির কর্মীরা। নেতা বলছেন, ‘‘এই মাঠে যত লোক আছে, বাইরে আছে আরও বেশি।’’মঞ্চের নীচে জনতার এই ছবি করোনা পর্বের আগে যেমন ছিল, এখনও প্রায় তেমনই।

কিন্তু সত্যি কি কিছুই বদলায়নি? বদলেছে।

• নেতাদের প্রত্যক্ষ জনসংযোগ ভীষণ ভাবে ব্যাহত।

• ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো।

• করোনা পর্ব ভার্চুয়াল লাইভ-সভার দরজা খুলিয়ে দিয়েছে। উপায় নেই। রাস্তায় শক্তিপ্রদর্শনের লড়াই কমেছে। 

ফলে মোবাইল, মনিটর বা টিভি স্ক্রিনের ফ্রেমেই আমরা এখন অনেক বেশি দেখতে পাচ্ছি রাজনীতির খেলা। ২০২০-তে দাঁড়িয়ে রাজনীতি ‘ফ্রেমবন্দি’।

কিন্তু ক্ষমতার রাজনীতিকে সত্যিই কি নতুন কোনও ফ্রেমে বেঁধে ফেলতে পারল কোভিড-১৯?

কোভিড পর্বের গোড়ায় প্রশ্ন জাগছিল— ভয়ঙ্কর এবং অদৃশ্য এক মারণশত্রুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে একবিংশ শতাব্দীর মানবসভ্যতা কি নতুন কোনও মানবিক সম্পর্কের সন্ধান করবে? দুর্নীতির রাজনীতি, বিদ্বেষের রাজনীতি, যেনতেন প্রকারে ক্ষমতায় থাকার রাজনীতির মনে কি এই মৃত্যুচেতনা কোনও পরিবর্তিত বিবেকের জন্ম দেবে? নাহ্, এমন কিছু হয়নি।

মঞ্চে এবং মাঠে বসা মানুষদের মধ্যে একচুলও ফারাক কমেনি।

তবে রাজনীতিতে সবসময়ই উত্থানপতন থাকে। সেই লাভ-ক্ষতির অঙ্কে কোভিড এ বছর নতুন এক ‘ফ্যাক্টর’ হিসাবে দেখা দিয়েছে।

ট্রাম্পের হারে ফ্যাক্টর হল কোভিড!

অনেকেই বলছেন। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের প্রাক্ ভোটসমীক্ষা বলেছিল জো বাইডেন জিতবেন। কিন্তু নিজের দেশের অধিকাংশ মিডিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের তো সম্পর্ক আদায়-কাঁচকলায়। তাই মিডিয়ার বাইরের অনেকেরই মনে হয়েছিল, সেই ‘একতরফা’ সমীক্ষায় পক্ষপাতিত্ব আছে। শেষ পর্যন্ত সমীক্ষা শুধু মিললই না, একাধিক রিপাবলিকান ঘাঁটিতেই ট্রাম্প হারলেন। ফলাফল বিশ্লেষকরা বলছেন, কোভিড সামলানোয় চিনের ‘সাফল্য’ এবং ট্রাম্পের ব্যর্থতা এই হারের পিছনে অন্যতম বড় কারণ।

মোদীর ‘মুক্তি’!

জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি-২০২০। ১৪ ডিসেম্বর শুরু হওয়া দিল্লির শাহিনবাগ আন্দোলন দেশের অন্যান্য প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসেবে মুসলিম সমাজের মেয়েরা দলে দলে রাস্তায় এসে বসছেন সিএএ (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন)-র বিরুদ্ধে। কোনও দলের নেতৃত্বে নয়, শহুরে নাগরিক সমাজ আন্দোলনের নতুন ছবি দেখাচ্ছে দেশে। বহু শিখ ধর্মস্থান খুলে রাখা হয়েছে আন্দোলনকারীদের সাহায্যে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ সারা দেশ দেখল এক রক্তাক্ত অধ্যায়। দিল্লি ‘দাঙ্গা’!  নিহতের সংখ্যা ৫০-এর বেশি। সব মিলিয়ে মার্চের প্রথম দু’সপ্তাহ পর্যন্ত অভূতপূর্ব এক অস্বস্তিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

অমিত শাহ সিএএ-এনআরসি একসঙ্গে জুড়ে বক্তৃতা করেছেন বারবার। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চাপে থাকা প্রধানমন্ত্রীকে এই দুইয়ের সম্পর্ক নেই বলে সজোরে ঘোষণা করতে হচ্ছে। আশ্বাস দিতে হচ্ছে, এ দেশের প্রকৃত নাগরিকরা ধর্মপরিচয়ের জন্য কোনও সমস্যায় পড়বেন না। সে সময় কে জানত, তাঁর জন্য এবং দেশের জন্য আরও বড় উদ্বেগের কাল আসতে চলেছে! করোনা ভয় দেশকে ঘিরতে শুরু করল মার্চের মাঝামাঝি। ২৪ মার্চ থেকে দেশজোড়া লকডাউন। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে মোদী। কিন্তু তিন মাসের উপর চলতে থাকা সিএএ-এনআরসি বিরোধী প্রবল চাপ থেকে যেন তাঁকে মুক্তিও দিয়ে গেল কোভিড-১৯।

শি-র মুখে হাসি!

শ্যামবাজারের রকের বক্তা পানুবাবুর একটা থিয়োরি আছে— চিন তার ল্যাবরেটরিতে করোনা বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে ইউরোপে-আমেরিকায়। আর নিজেরা আগে থেকে প্ল্যান করে তৈরি হয়ে নিয়েছিল, আমেরিকা সমেত গোটা প্রথম বিশ্বের অর্থনীতি ডুবিয়ে বিশ্বের এক নম্বর হতেই নাকি চিনের এই চক্রান্ত।

এ হেন ‘ঠেকের তত্ত্ব’ যতই কষ্টকল্পিত হোক, তথ্য হল— চিন বিশ্বের একমাত্র বড় অর্থনীতি, যে এই কোভিড বছরেও আর্থিক বৃদ্ধির মুখ দেখল।দেশের ভিতরের রাজনীতিতে শি জিনপিং অবশ্য এমনিতেই নরেন্দ্র মোদী আর ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে অনেক বেশি নিশ্চিন্ত। ভারত বা আমেরিকায় জনতার ভোটে জিতে ক্ষমতায় থাকতে হয়। চিনের একদলীয় শাসনে সে বালাই নেই।

সেই চিন কোভিড-চক্রে আগামী ৮-৯ বছরের মধ্যে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অর্থনীতি হতে যাচ্ছে বলে দাবি করেছে ‘জাপান সেন্টার ফর ইকনমিক রিসার্চ’। এই ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হলে বিশ্ব-রাজনীতিতে হয়ত সত্যিই বিশাল টার্নিং পয়েন্ট হয়ে থাকবে অদৃশ্য ভাইরাস।

আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কেন্দ্রের বৈঠকের দিন বদল, বছর শেষে কি মিটবে কৃষক বিক্ষোভ?-সংবাদ প্রতিদিন

২৯ নয়, ৩০ ডিসেম্বর কেন্দ্রের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন আন্দোলনকারী কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। কেন্দ্রের আরজি মেনে বৈঠকের দিন বদলে সায় দিয়েছে তাঁরা। তবে কৃষকদের আরজি না মানলে আমরণ অনশনে বসার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন আন্না হাজারে। সবমিলিয়ে কৃষি আইন (Farm Laws) নিয়ে রাজধানীতে রাজনীতির পারদ ক্রমশ চড়ছে।

কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা (Farmers Protest)। এমন আবহে প্রধানমন্ত্রীর আরজি মেনে ২৯ ডিসেম্বর বৈঠকে বসতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিল কৃষক সংগঠনগুলি। সেই চিঠি পালটা কেন্দ্র জানায় ৩০ ডিসেম্বর বৈঠক বসতে চায় তাঁরা। তাতেই রাজি হয়েছে কৃষকরা।

‘লভ’-এর মধ্যে ‘জিহাদ’ থাকতে পারে না, ধর্মান্তরণ আইন নিয়ে একহাত নিলেন অমর্ত্য সেন-আনন্দবাজার পত্রিকা

ভিন ধর্মে বিয়ে রুখতে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধী আইন নিয়ে বর্তমান ভারতে যা হচ্ছে, তাকে এক হাত নিলেন নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। সোমবার বস্টন থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য বলেন, ‘‘এটা খুবই চিন্তার বিষয়। একে মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হচ্ছে। জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। কিন্তু এই আইনের ফলে মানবাধিকার লঙ্খন করা হচ্ছে। কারণ যে কোনও মানুষই নিজের ধর্ম বদলে অন্য ধর্মগ্রহণ করতে পারেন। সেটা সংবিধান স্বীকৃত। তাই এই আইন অসাংবিধানিক।’’

‘লাভ জিহাদ’-এর অজুহাতে একের পর এক বিজেপিশাসিত রাজ্য যখন বিয়ের নামে ধর্মান্তরণ প্রতিরোধী আইন কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে, সেই সময় অমর্ত্য সেনের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ। সোমবার অমর্ত্য বলেন, ‘‘অবিলম্বে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চাওয়া উচিত। এই আাইনকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা উচিত। এটা খুবই বড় বিষয়। ভারতের ইতিহাসে এমন দৃষ্টান্ত নেই।আকবরের সময় নিয়ম হয়েছিল, যে কোনও ব্যক্তি যে কোনও ধর্ম গ্রহণ করতে পারেন। এবং যে কোনও ধর্মে বিবাহ করতে পারেন। ফলে আমাদের দেশে সেই সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সংবিধানে ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার কথা খুব স্পষ্ট ভাবে বলা আছে। ফলে এমন আইন সংবিধানকেই অপমান করে।’’ এর পর তাঁর সরস মন্তব্য, ‘‘এখন ‘ক্রিমিনাল অ্যাক্ট অব লভ জিহাদ’ বলা হচ্ছে। তলিয়ে দেখলে বোঝা যায় ‘লভ’ বা প্রেমের মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ নেই। ভিন্ ধর্মের কাউকে ভালবেসে বিয়ে করলে, তার মধ্যে কোনও ‘জিহাদ’ থাকতে পারে না। তেমনই একটি ধর্ম ছেড়ে অন্য কোনও ধর্ম গ্রহণ করলেও কোনও সমস্যা নেই। এটা একটা রাজনৈতিক দল করছে। এর ফলে ভারতকে অপমান করা হচ্ছে। এটা ভারতের সংস্কৃতি নয়। আমার বিশ্বাস, আদালত এর জবাব দেবে।’’

ফের ‘৩ বার বিয়ে’ নিয়ে অমর্ত্য সেনকে কটাক্ষ দিলীপের, পালটা দিলেন সৌগত -সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে,বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বরাবরই শিরোনামে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। প্রায় প্রতিদিনই প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে শাসকদলকে নিশানা করেন তিনি। এবার আক্রমণ করলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে।

জীবন যাপনের অধিকার তো মৌলিক অধিকার হিসেব স্বীকৃত। যে কোনও মানুষ যে কোনও ধর্মগ্রহণ করতে পারেন।” এই মন্তব্যের পালটা দিতে গিয়ে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করেন দিলীপ। বলেন, “উনি তিনবার তিনধর্মে বিয়ে করেছেন। ব্যক্তিগত বিষয়ে কথা বলার অধিকার আমার নেই। সে বিষয়ে বিশেষ কিছু বলব না।” অমর্ত্য সেনকে তোপ দেগে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন। দেশের মানুষের কথা ভাবেননি তাঁর কাছে নীতিকথা শুনব না।” এরপর তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বলেন, “যাঁরা ওঁনার কথা শুনছে তাঁরা ডুবছে। আমরা শুনব না।”

অর্মত্য সেন প্রসঙ্গে এই নজিরবিহীন মন্তব্যের জন্য দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। বলেন, “ওনার মতো মানুষের পক্ষে অমর্ত্য সেনের গুরুত্ব বোঝা সম্ভব নয়। অসহিষ্ণুতার রাজনীতি নিয়ে সরব নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, সেকারণেই তাঁকে এত অপছন্দ বিজেপির।” উল্লেখ্য, কেন্দ্রের নীতির বিরোধিতায় অমর্ত্য সেনের মন্তব্য প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও (Babul Supriyo)। তাঁর কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরে সুর মেলাচ্ছেন নোবেলজয়ী।”

প্রসঙ্গ লভ জিহাদ: অমর্ত্যকে কটাক্ষের জবাবে মহুয়ার পাল্টা বিজেপিকে- আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে,

‘লভ জিহাদ’ বিতর্কে অমর্ত্য সেনকে বেঁধায় আরএএস এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। মঙ্গলবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ ‘লভ জিহাদ’ নিয়ে অমর্ত্যের মন্তব্যের সমালোচনা করেন। দিলীপের সেই মন্তব্যেরই কড়া সমালোচনা করলেন মহুয়া। তাঁর টুইট, ‘কে কাকে বিয়ে করবে, কাকে ভালবাসবে, তা নিয়ে কথা বলার অধিকার অসুস্থ, বিকৃতমনস্ক আরএসএস গুণ্ডাদের কে দিয়েছে? এই সব নিয়ে আলোচনার উপর দাঁড়িয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ভোটে জিততে চায়? পারলে উন্নয়ন নিয়ে কথা বলুন হাফ প্যান্ট পরা, হাফ বুদ্ধিহীন ধর্মান্ধরা’।

ব্যস্ত রাস্তায় পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে, বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ-দৈনিক আজকাল

নৃশংস। দিনের বেলায় রাস্তায় পিটিয়ে মারা হল এক ব্যক্তিকে। বাঁচাতে এগিয়ে এল না কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে। ব্যস্ত রাস্তায় দুই অভিযুক্ত যখন লাঠি দিয়ে ওই ব্যক্তিকে মারছে, তখন পাশ দিয়েই বাস, মোটরবাইক, ট্যাক্সি যাচ্ছিল। কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। বরং মোবাইলে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। রাস্তায় পিটিয়ে মারার দৃশ্য ভাইরাল হতেই হইচই পড়েছে নেট দুনিয়ায়।যে ব্যক্তিকে পিটিয়ে মারা হচ্ছিল, তাঁর নাম অজয়। সোমবার সকালে তিনি আক্রান্ত হন। পুলিশ জানিয়েছে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে কয়েকদিন আগেই দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন অজয়ের ভাই সঞ্জয়। তখন পুলিশ বলেছিল বিষয়টি মিটমাট করে নিতে। একটি ফুলের দোকান করা নিয়ে সঞ্জয়ের সঙ্গে বিরোধ হয় মূল অভিযুক্ত গোবিন্দর। পিটিয়ে মারার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত গোবিন্দ। সে এবং তার বন্ধু অমিত পিটিয়ে মেরে ফেলে অজয়কে। 

ভিডিওয় দেখা গেছে, অজয়ের দেহ থেকে রক্ত গড়িয়ে রাস্তা ভিজে যাচ্ছে। দুই অভিযুক্ত সেই অবস্থায় অজয়কে মেরে চলেছে। পুলিশ দুই অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৯ 

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
     

ট্যাগ