ঝাড়খণ্ড বিধানসভা চত্বরে নামাজ কক্ষ নিয়ে হট্টগোল, স্পিকারের নির্দেশ বাতিলের দাবি বিজেপির
https://parstoday.ir/bn/news/india-i97034-ঝাড়খণ্ড_বিধানসভা_চত্বরে_নামাজ_কক্ষ_নিয়ে_হট্টগোল_স্পিকারের_নির্দেশ_বাতিলের_দাবি_বিজেপির
ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা চত্বরে স্পিকারের পক্ষ থেকে নামাজের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিধায়করা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল (সোমবার) ওই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা ঢোল, খঞ্জনী ইত্যাদি নিয়ে 'ভজন-কীর্তন’ সহ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।  
(last modified 2025-09-11T14:06:22+00:00 )
সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১ ১২:০০ Asia/Dhaka

ভারতের ঝাড়খণ্ড বিধানসভা চত্বরে স্পিকারের পক্ষ থেকে নামাজের জন্য একটি কক্ষ বরাদ্দকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিধায়করা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল (সোমবার) ওই ইস্যুতে বিধানসভার বাইরে বিজেপি বিধায়করা ঢোল, খঞ্জনী ইত্যাদি নিয়ে 'ভজন-কীর্তন’ সহ ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।  

হিন্দুত্ববাদী বিজেপি বিধায়করা এ সময়ে কখনও 'হরে রাম-হরে কৃষ্ণ', কখনও 'হর-হর মহাদেব' এবং 'জয় শ্রী রাম' ধ্বনি দেন। দেওঘরের বিজেপি বিধায়ক নারায়ণ দাস পুরোহিতের বেশে বিধানসভায় পৌঁছান। বিজেপি বিধায়করা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, নামাজের জন্য কক্ষ বরাদ্দের আদেশ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত অথবা অন্যান্য ধর্মের জন্য কক্ষ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের বিক্ষোভ চলবে।     

এদিন বিধানসভার মধ্যে ওই ইস্যুতে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভার কার্যক্রম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি বিধায়করা 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দিতে দিতে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এ সময়ে বিধানসভার স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহাতো বিধায়কদের নিজ নিজ আসনে ফিরে যাওয়ার আবেদন জানান। কিন্তু গোলমাল চলতে থাকলে অবশেষে অধিবেশন মুলতবি করা হয়।  

মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেছেন, এ ধরনের মানসিকতা রাজ্যের উন্নয়নে অন্তরায়।

বিজেপির হট্টগোল প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বান্না গুপ্ত বলেন, ধর্মের নামে উন্মাদনা ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যা ভুল। 

একইসময়ে, কংগ্রেস বিধায়ক ইরফান আনসারি বলেন, বিজেপি জনগণকে মুদ্রাস্ফীতি এবং কর্মসংস্থানের মতো জনস্বার্থ সম্পর্কিত সমস্যা থেকে দৃষ্টি অন্যদিকে সরিয়ে দিতে চায়। 

সম্প্রতি, ঝাড়খণ্ড বিধানসভার স্পিকার বিধানসভায় শুক্রবার জুমা নামাজের জন্য আলাদা কক্ষ বরাদ্দ করেছেন। এরপরে বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে হনুমান মন্দির এবং অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

ঝাড়খণ্ড সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রোববার বিজেপি কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহাতোর কুশপুতুল পুড়িয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে

ঝাড়খণ্ড সরকারের মন্ত্রী হাফিজুল হাসান বলেন, লোকসভা, রাজ্যসভা বা দেশের অন্যান্য বিধানসভায় সংখ্যালঘুদের প্রার্থনা করার জন্য একটি স্থান নির্ধারিত আছে। এমন অবস্থায় ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় একটি জায়গা ঠিক করা হয়েছে, তাহলে কেন এর বিরোধিতা করা হচ্ছে? 

বিজেপির মন্দির নির্মাণের দাবির প্রতিবাদ করে তিনি বলেন, বিধানসভা চত্বরে কোনও মসজিদ তৈরি করা হয়নি কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে একটি মন্দির নির্মাণের দাবি করা হচ্ছে।    

স্পিকার রবীন্দ্র নাথ মাহাতো এ সম্পর্কে বলেন, ‘শুক্রবারে নামাজ পড়ার জন্য অনেকে সমবেত হন। এ জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন। তাই সেই লোকদের জন্য একটি জায়গা দেওয়া হয়েছে। আমাদের পুরনো বিধানসভাতেও নামাজ পড়ার জন্য একটি বিশেষ জায়গা বরাদ্দ করা হয়েছিল।’   

‘লোকেরা বলেছিল যে শুক্রবারে কম সময়ে নামাজ আদায় করতে হলে আমাদের অনেক দূর যেতে হয়। একটি জায়গার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। সেজন্য সঠিক জায়গা যেখানে খালি আছে সেই জায়গায় নামাজ পড়লে আপনাদের কোন সমস্যা নেই’ বলেও স্পিকার রবীন্দ্রনাথ মাহাতো মন্তব্য করেন।#         

পার্সটুডে/এমএএইচ/এআর/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।