শুক্রবারের আলোচনা শেষে কয়েকদিনের বিরতি
ইরানের কারণে ভিয়েনা সংলাপে বিরতি দেয়া হয়নি: পরমাণু আলোচক
ইরান অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চলমান আলোচনায় বিরতি চায়নি বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচক ও উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ বাকেরি-কানি।
তিনি শুক্রবারের আলোচনা শেষ হওয়ার পর ইরানের বার্তা সংস্থা ইসনাকে বলেছেন, ইরান এবারে আলোচনায় বিরতি চায়নি বরং আমরা আলোচনার শুরুতেই এ সমঝোতায় উপনীত হয়েছিলাম যে, চুক্তির খসড়া তৈরি করার পর আমরা বিরতিতে যাব।
শুক্রবার রাতের আলোচনা শেষ হওয়ার পর এতে কয়েকদিনের বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পরবর্তীতে ঠিক কবে আবার আলোচনা শুরু হবে সে তারিখ ঘোষিত হয়নি।
বাকেরি-কানি বলেন, উভয় পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি চুক্তির খসড়া প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত এবারের আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষপাতী ছিল ইরান।
ইরানের উপ -পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, যদি প্রতিপক্ষ ইরানের যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি ও অবস্থান মেনে নেয় তাহলে চলমান আলোচনাকে শেষ আলোচনায় পরিণত করা সম্ভব। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে পারব।
বাকেরি-কানি বলেন, এবারের সংলাপ থেকে ফল বের করে আনার জন্য প্রতিপক্ষকে সদিচ্ছার প্রমাণ দেখাতে হবে।
গত ২৯ নভেম্বর থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় চীন, রাশিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেনের সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা পুনর্বহাল সংক্রান্ত সপ্তম দফা সংলাপ চলছে। পাঁচ জাতিগোষ্ঠী নামে পরিচিত এসব দেশের পাশাপাশি আমেরিকাকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরান ২০১৫ সালে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল।
ওই সমঝোতা অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সীমাবদ্ধতা আনে এবং এর বিপরীতে তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।সমঝোতা অনুযায়ী ইরান তার পরমাণু কর্মসূচিতে সর্বোচ্চ চার মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে সম্মত হয়।
কিন্তু ২০১৮ সালে আমেরিকা একতরফাভাবে এটি থেকে বেরিয়ে গিয়ে ইরানের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করলে ইরান সমঝোতা থেকে বেরিয়ে না গিয়ে ধীরে ধীরে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। বর্তমানে ইরান ৬০ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করছে। ভিয়েনা সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে মূলত দু’পক্ষকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।