নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব লঙ্ঘিত হয়েছে বলে দাবি
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ক্ষোভ উগরে দিল ব্রিটেন
-
শুক্রবার চার দিনব্যাপী মহড়ার শেষ দিনে ইমাদ, কাদর, সিজ্জিল, জিলজাল, দেজফুল ও জুলফিকার শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ইরান।
ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ব্রিটেন। ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি তাদের সামরিক মহড়ার চতুর্থ ও শেষ দিনে একসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ১৬টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর এ প্রতিক্রিয়া জানাল ব্রিটেন। মহানবী (সা.)-১৭ নামের এই মহড়ার শেষদিনে শুক্রবার আইআরজিসি দীর্ঘ, মধ্য ও স্বল্প পাল্লার এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবারই দাবি করে, ইরানের পক্ষ থেকে এসব ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ফলে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘিত হয়েছে।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার কয়েকদিন পর নিরাপত্তা পরিষদ ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব পাস করে। প্রস্তাবটিতে পরমাণু সমঝোতাকে আইনগত স্বীকৃতি দেয়া হয় এবং এর মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে ইরানের ওপর আরোপিত সব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

শুক্রবার চার দিনব্যাপী মহড়ার শেষ দিনে ইমাদ, কাদর, সিজ্জিল, জিলজাল, দেজফুল ও জুলফিকার শ্রেণির ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে ইরান। ইরানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ বাকেরি বলেছেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্প্রতি ইরানকে যে হুমকি দিয়েছে তার জের ধরেই এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।তিনি বলেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে এই বার্তা পাঠানো হয়েছে যে, যে দেশেরই মস্তিষ্কে ইরানের আগ্রাসন চালানোর দুষ্টবুদ্ধি উদয় হবে তাকে লক্ষ্য করে এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হবে।
ইহুদিবাদী ইসরাইল সম্প্রতি হুমকি দিয়েছিল, ভিয়েনা সংলাপের মাধ্যমে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না হলে দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাবে তেল আবিব। এদিকে ইরান এমন সময় এসব ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল যখন ইরানের মধ্যম ও দূরপাল্লার বহু ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলের যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে সক্ষম।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।