প্রতিরোধ সংগঠনগুলো আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠায় চিন্তিত শত্রুরা
(last modified Mon, 03 Jan 2022 13:53:46 GMT )
জানুয়ারি ০৩, ২০২২ ১৯:৫৩ Asia/Dhaka

আজ ইরানের সন্ত্রাস-বিরোধী শীর্ষ কমান্ডার এবং ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ব্রিগেডের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি তিনি মার্কিন সেনাদের ড্রোন হামলায় বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে শহীদ হয়েছিলেন। তিনি ছাড়াও ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ শাবির উপপ্রধান আবু মাহদি আল মোহান্দেস ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলেই শহীদ হন।

ইসরাইল ও মার্কিন কর্মকর্তারা ভেবেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কমান্ডারকে হত্যার মাধ্যমে তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দেয়া যাবে। কিন্তু গত দুই বছরের ঘটনাবলীতে শত্রুদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এমনকি তারা সোলাইমানির চিন্তা বিশ্বাস সম্পর্কেও ভুল ধারণা পোষণ করতো। সোলাইমানির শাহাদাতে এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি ছিলেন সমগ্র এ অঞ্চলে প্রতিরোধের মূল নায়ক এবং দখলদার ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চেতনার প্রতীক।

এ কারণে সোলাইমানির শাহাদাতের পরও এ অঞ্চলে ইসরাইল ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন তো থামেনি বরং ওই হত্যাকাণ্ডের মাত্র দুই দিন পর ইরাকের পার্লামেন্টে সেদেশ থেকে মার্কিন সেনা বহিষ্কারের বিষয়ে সর্বসম্মতিক্রমে আইন পাশ হয়। এ ছাড়া ইরাকের রাজধানী বাগদাদের লাখ লাখ মানুষ মার্কিন বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। এমনকি ইরাকে মার্কিন সেনাদের সঙ্গে প্রতিরোধ সংগঠনের যোদ্ধাদের সংঘর্ষ নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়।

অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে জেনারেল সোলাইমানি শহীদ হওয়ার পাঁচ মাসের মাথায় মার্কিন কর্মকর্তারা ইরাকে তাদের সেনা উপস্থিতির ব্যাপারে ইরাক সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বাধ্য হয় এবং নতুন করে চুক্তিতে পৌঁছে। এ চুক্তির ফলে সব মার্কিন সেনা গেল ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ ইরাক থেকে চলে যাবে বলে কথা হয় এবং কেবল উপদেষ্টা পর্যায়ে কিছু মার্কিনী ইরাকে থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্য সব মার্কিন সেনা যদি ইরাক নাও ছাড়ে তবুও এতে প্রমাণিত হবে যে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি পশ্চিম এশিয়ায় কোনো কল্যাণ তো বয়ে আনবে না বরং তারা এ অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।

ধারণা করা হচ্ছে, আফগানিস্তান যুদ্ধে পরাজয় মেনে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সেদেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। খুব শীঘ্রই ইরাক থেকেও তারা পুরোপুরি সেনা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হবে। জেনারেল সোলাইমানি ও আবু মাহদি আল মোহান্দেসের শাহাদাতের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে ইরাকের হাশদ আশ শাবি সংগঠনের প্রধান ফালাহ আল ফাইয়াজ বলেছেন, এ ঘটনায় আমেরিকার কোনো সেনাই আর ইরাকে থাকতে পারবে না।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, জীবিত সোলাইমানির চেয়ে মৃত সোলাইমানি আমেরিকা ও ইসরাইলের জন্য আরো বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। এ অঞ্চলের প্রতিরোধ  সংগঠনগুলো আরো বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠায় শত্রুরা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/০৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ