জানুয়ারি ০৮, ২০২২ ১১:৪৪ Asia/Dhaka
  • ‘লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক’

সুপ্রিয় মহোদয়, আসসালামু আলাইকুম। গত ৩ জানুয়ারি ছিল মহাবীর লে. জেনারেল কাসেম সোলাইমানি'র দ্বিতীয় শাহাদাত বার্ষিকী। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ভোরের দিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে তিনি মার্কিন সন্ত্রাসী সেনা কর্তৃক বর্বর ড্রোন হামলায় শাহাদাত বরণ করেন।

ইরানের  কুদস ফোর্সের এই সাবেক লে. জেনারেল ছিলেন সত্য ও ন্যায়ের মূর্ত প্রতীক। বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষের কাছে তিনি ছিলেন শেষ ভরসা ও বিশ্বাসের নাম। অত্যাচারী মার্কিন প্রশাসনের কাছে তিনি ছিলেন ভীতির অন্যতম কারণ। দক্ষতা, মেধা, রণকৌশল আর সক্ষমতা প্রমাণে এই মহাবীর ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি। সেকারণেই পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে ভোগবাদী আর সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন সেনারা তাকে বর্বরোচিত ভাবে হত্যা করে।

কিন্তু জেনারেল কাসেম সোলাইমানি'র শহীদি মৃত্যু আবারো প্রমাণ করে গেল যে প্রকৃত সত্য বীরের কোনো মৃত্যু হয় না। দৈহিক ভাবে তারা পৃথিবী থেকে চলে যায় মাত্র! মূলতঃ কাসেম সোলাইমানি'র শাহাদাতের মধ্য দিয়ে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে জেগে ওঠেছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান, ইরাক, লেবানন ও ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ও মুক্তিকামী জনতা। জঘন্য এই হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে স্পষ্টত প্রমাণ হলো যে, ভোগবাদী আর দখলদার মার্কিনীরা মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ঘাঁটি করেও স্বস্তিতে নেই।

স্বস্তি পাবার জন্য তারা অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ড সংঘটিত করলেও স্বস্তি নয়; বরং ভয় আর বিপদ তাদেরকে তাড়া করে ফিরছে। ন্যক্কারজনক এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে মহাবীর এই কমান্ডার লে. জেনারেলের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। পরিশেষে, কাসেম সোলাইমানি'র আত্মার মাগফেরাত কামনা করে রেডিও তেহরানকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজ এখানেই ইতি টানছি।

 

বিনীত,

হারুন অর রশীদ

সভাপতি, জাগো রেডিও লিসেনার্স ক্লাব।

গ্রাম: পূর্ব নলছিয়া, পো: বিনোদটঙ্গী

থানা: মাদারগঞ্জ, জেলা: জামালপুর-২০১০

 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন। 

ট্যাগ