ওয়াশিংটনের সাম্রাজ্যবাদী নীতির নির্মম শিকার ইউক্রেন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i104552-ওয়াশিংটনের_সাম্রাজ্যবাদী_নীতির_নির্মম_শিকার_ইউক্রেন_ইরানের_সর্বোচ্চ_নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিশ্বের যেকোনো স্থানে যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মাবআস বা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নবুওয়াতপ্রাপ্তি দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ আহ্বান জানান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মার্চ ১১, ২০২২ ১৫:৫০ Asia/Dhaka
  • ওয়াশিংটনের সাম্রাজ্যবাদী নীতির নির্মম শিকার ইউক্রেন: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিশ্বের যেকোনো স্থানে যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে তার দেশের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মাবআস বা বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর নবুওয়াতপ্রাপ্তি দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ আহ্বান জানান।

আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আমেরিকাকে একটি ‘মাফিয়া সরকার’ আখ্যায়িত করে বলেন, ইউক্রেন ওয়াশিংটনের সাম্রাজ্যবাদী নীতির নির্মম শিকারে পরিণত হয়েছে।  তিনি বলেন, আমেরিকা ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে দেশটিতে রঙিন বিপ্লব ঘটিয়ে আজকের এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, “আমরা যেকোনো দেশে মানুষ হত্যা এবং অবকাঠামো ধ্বংসের বিরোধিতা করি।”

তিনি বলেন, পশ্চিমা শক্তিগুলোর ওপর মোটেও নির্ভর করা যায় না এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি তারা যে সমর্থন দেয়ার কথা বলে তা সত্যি নয়।  আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এবং সাবেক আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি- উভয়কে আমেরিকা রক্ষা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তাদের কারো পেছনে দাঁড়ায়নি ওয়াশিংটন। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে উসকানি দিয়ে এখন সরে পড়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আমেরিকাকে আধুনিক যুগের ‘জাহেলি শাসনের’ সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, জাহিলিয়াতের যুগে যেমন মারামারি-কাটাকাটি করা ছিল নিত্যনৈমিত্যিক ব্যাপার তেমনি জাহেলি শাসনাধীন আমেরিকা যেখানেই হাত দেয় সেখানেই সহিংসতা ও যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে।

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিশ্বনবী (সা.)-এর নবুওয়াতপ্রাপ্তি দিবসে আল্লাহর এই মহান প্রেরিত পুরুষকে সঠিকভাবে অনুসরণ ও তাঁর পরিপূর্ণ আনুগত্য করার আহ্বান জানান।

মুসলিম ঐতিহাসিকদের অনেকে মনে করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ২৭ রজব রাতে ৪০ বছর বয়সে হেরা পর্বতের গুহায় নবুওয়াতপ্রাপ্ত হয়েছিলেন। ওই রাতে হযরত জিব্রাইল আমিন আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে প্রথম ঐশী বাণী নিয়ে বিশ্বনবী (সা.)-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। আবার অনেকে মনে করেন, ২৭ রজব রাতে আল্লাহর নবী (সা.) মিরাজে গমন করেছিলেন।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।