সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন
আমেরিকা না হয় তেল পেল, তুমি কী পেলে গ্রিস?
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি গতকাল (শুক্রবার) গ্রিসের দুটি তেলবাহী জাহাজ আটকের পর সারা বিশ্বে তোলপাড় চলছে। এ বিষয়ে পিছিয়ে নেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো। এসব মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা, উঠে আসছে বহুমুখী প্রতিক্রিয়া।
আইআরজিসি সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সংবাদমাধ্যম নুর নিউজ গতকাল জানিয়েছিল, ইরানের জাহাজ আটকের জন্য গ্রিসের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। এর এক ঘণ্টার মধ্যে আইআরজিসি পারস্য উপসাগর থেকে গ্রিসের তেল ট্যাংকার ‘প্রুডেন্ট ওয়ারিয়র’ এবং ‘ডেলটা পজিডন’ নামের দুটি জাহাজ আটক করে।
এ সম্পর্কে একজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ইরান আমেরিকার দাসে পরিণত হতে চায় না তা দেখিয়ে দিল। কঠিন অবস্থা তৈরি হলো গ্রিসের সামনে।”
সারা হাজ নামে আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আমেরিকার নির্দেশে যখন গ্রিস ইরানের জাহাজ আটক করে তখন পুতুল গ্রিস ভুলে গিয়েছিল যে, তাদের জাহাজও ইরানের পানিসীমায় রয়েছে। তিনি খানিকটা ব্যঙ্গাত্মক সুরে প্রশ্ন করেছেন, “আমেরিকা না হয় চুরি করা তেল পেল, গ্রিস তুমি কি পেলে?
সাইয়েদ হানি মুসাভি নামে আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “তিনদিন আগে আমেরিকার নির্দেশে গ্রিস ইরানের পতাকাবাহী তেল ট্যাংকার আটক করে। আজকে ইরান গ্রিসের পতাকাবাহী দুটি তেল ট্যাংকার আটক করল। পশ্চিমা বলদর্পিতার মুখে 'ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় নীতি অনুসরণ আর কি'।
ফেরেশতে সদেকি আমি একজন ইরানি নাগরিক টুইটারে লিখেছেন, "যেমন কর্ম তেমন ফল।" তিনি বলেন, ইরানের জাহাজ আটক করে সেই তেল আমেরিকায় নেয়া হয়েছে, এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইরান গ্রিসের জাহাজ আটক করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রভাষক কুদজাই মুসিসি লিখেছেন, ইরানিরা বিনা জবাবে কোনো কিছু ছেড়ে দেয় না- এ কারণেই তিনি ইরানকে পছন্দ করেন।
আরেকজন টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “প্রথমে ইরানের জাহাজ আটক করে গ্রিস জলদস্যুতা শুরু করেছে। তারপর তারা ইরানের কাছ থেকে কি আশা করতে পারে? এটি হলো পাল্টা জবাব এবং অবশ্যই মার্কিন করদরাজ্যের পরিণতি এমনই হয়।”#
পার্সটুডে/এসআইবি/২৮