ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিরিয়া সফর: তুরস্ক-সিরিয়া উত্তেজনা নিরসন অন্যতম লক্ষ্য
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i110022-ইরানের_পররাষ্ট্রমন্ত্রীর_সিরিয়া_সফর_তুরস্ক_সিরিয়া_উত্তেজনা_নিরসন_অন্যতম_লক্ষ্য
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য দামেস্ক গেছেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানআনি বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে মতবিনিময় করা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়া সফরের উদ্দেশ্য।
(last modified 2025-10-12T12:48:31+00:00 )
জুলাই ০২, ২০২২ ১৮:৪৪ Asia/Dhaka

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সিরিয়ার কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাতের জন্য দামেস্ক গেছেন। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানআনি বলেছেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে মতবিনিময় করা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়া সফরের উদ্দেশ্য।

দামেস্কে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আব্দুল্লাহিয়ান এমন সময় সিরিয়া সফরে এসেছেন যখন তিনি গত সোমবার তুরস্ক সফরে গিয়ে সেদেশের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে সিরিয়াসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঙ্কারা সফরকালে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের সঙ্গে সাক্ষাতে সিরিয়ায় যে কোনো সামরিক হামলার বিরুদ্ধে ইরানের অবস্থানের কথা জানিয়েছিলেন। কেননা তুরস্ক সরকার সন্ত্রাসবাদ দমনের অজুহাতে ইরাক ও সিরিয়ার উত্তরে সামরিক হামলা চালানোর কথা ঘোষণা করার পর থেকে সমগ্র ওই অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

ইরান প্রথম থেকেই রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলে আসছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, রাজনৈতিক সমাধানকেই নিরাপত্তা ক্ষেত্রে তুরস্কের উদ্বেগ দূর হওয়ার একমাত্র উপায় বলে আমরা মনে করি এবং যে কোনো সামরিক পদক্ষেপ এড়িয়ে কেবল আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। ইরান মনে করে সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য রক্ষায় ওই দেশটির শক্তিশালী উপস্থিতি খুবই জরুরি।

বাস্তবতা হচ্ছে, সিরিয়ার বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের অনেক দেশ কঠিন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত এবং তারা উগ্র গোষ্ঠীগুলোকে লেলিয়ে দিয়ে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ইরানের সহযোগিতায় সিরিয়া ওই কঠিন বিপদ থেকে রক্ষা পায়। বর্তমানে ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ আর্থ-রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক বজায় রয়েছে। দুই দেশই যে কোনো আগ্রাসনসহ আঞ্চলিক নানা বিষয়ে অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করে এবং উভয়ে দখলদার ইসরাইলের সাথে আরব দেশগুলোর সম্পর্কের ঘোর বিরোধী।

অন্যদিকে, আঞ্চলিক কিছু বিষয়ে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে মতবিরোধ থাকলেও ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি ও মানবিক বিপর্যয় রোধ এবং ফিলিস্তিন ইস্যুতে তারা অভিন্ন নীতি পোষণ করে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, ইরান স্বাধীন নীতি নিয়ে চলে এবং এ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের যে কোনো হস্তক্ষেপের বিরোধী। সে কারণে আঞ্চলিক সমস্যা সমাধান ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সংলাপকেই ইরান অগ্রাধিকার দেয়।

যাইহোক, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরিয়া সফর সম্পর্কে বলেছেন, সিরিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনা নিরসন করা তার এ সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য। #            

 পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।