ইরানের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি:
ইরানের ন্যাশনাল অবজারভেটরির টেলিস্কোপের প্রথম মহাজাগতিক চিত্র রেকর্ড: সায়েন্স ম্যাগাজিনের রিপোর্ট
-
ইরানের ন্যাশনাল অবজারভেটরি
ইরানের ন্যাশনাল অবজারভেটরির টেলিস্কোপ প্রথমবারের মতো মহাজাগতিক চিত্র রেকর্ড করতে সক্ষম হয়েছে।
মার্কিন সায়েন্স ম্যাগাজিন এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করে একটি রিপোর্টে লিখেছে: নিষেধাজ্ঞার মাঝে এ ধরনের একটি বৃহৎ প্রকল্প তৈরির বিষয়টি সত্যিই অভাবনীয়। সেইসঙ্গে ইরানি বিজ্ঞানীদের কারিগরি, প্রযুক্তি ও কৌশলগত উন্নয়নের প্রমাণ বলেও ম্যাগাজিনটি লিখেছে।
রাহ দানা ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক জানিয়েছে 'সায়েন্স' ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরানীরা যখন এই প্রকল্পটি শুরু করেছিল, তখন এর চূড়ান্ত নির্মাণ এবং সমাপ্তি ছিল কেবল একটি স্বপ্নের মতো। জাতীয় অবজারভেটরি সেন্টার নির্মাণে ইরানের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের ব্যাপক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা যেসব বাধার সম্মুখিন হয়েছে বিশ্বের অন্য কোনো দেশের বিজ্ঞানীকে সেরকম কোনো বাধার মুখে পড়তে হয় নি। নিষেধাজ্ঞার কারণে উন্নত কোনো প্রযুক্তির সহযোগিতা নিতে পারে নি ইরানি জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। কারণ আমদানির ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছিল। এমনকি অপর কোনো দেশ সফর করে বিদেশি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ নেওয়ারও সুযোগ হয় নি কেননা তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাও ছিল।
ইরানের ন্যাশনাল অবজারভেটরি টেলিস্কোপ একটি গ্যালাক্সির রঙিন ছবি তুলতে সক্ষম হয়েছে। ওই গ্যালাক্সির নাম এনজিসি-২৩। গ্যালাক্সিটি পৃথিবী থেকে ২০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত বলে জানায় সায়েন্স ম্যাগাজিন। ইরানের ন্যাশনাল অবজারভেটরির ৩.৪ মিটার টেলিস্কোপের আলোকচিত্র রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে ইরান তাদের বৃহত্তম বৈজ্ঞানিক প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে।#
পার্সটুডে/এনএম/২০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।