ইরানের মাজারে সন্ত্রাসী হামলা: আইএস জঙ্গিদের দায় স্বীকার
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i115038
শত্রুরা যখন ইরান জুড় নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ঠিক তখন শিরাজ শহরে ইমাম রেজা (আ.)এর ভাই হযরত আহমাদ বিন মুসা(আ.)এর মাজারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই মাজার শাহ চেরাগ নামে পরিচিত। এই হামলায় অনেক জিয়ারতকারী হতাহত হয়েছেন।
(last modified 2025-07-09T12:00:31+00:00 )
অক্টোবর ২৭, ২০২২ ১৯:০২ Asia/Dhaka

শত্রুরা যখন ইরান জুড় নিরাপত্তাহীনতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির বিশাল পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে ঠিক তখন শিরাজ শহরে ইমাম রেজা (আ.)এর ভাই হযরত আহমাদ বিন মুসা(আ.)এর মাজারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই মাজার শাহ চেরাগ নামে পরিচিত। এই হামলায় অনেক জিয়ারতকারী হতাহত হয়েছেন।

গতকাল বিকালে এক সশস্ত্র ব্যক্তি মাজারে প্রবেশ করে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। এতে ১৫ জিয়ারতকারী শহীদ এবং আরো অনেকে আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে এক নারী এবং দুটি শিশু রয়েছে। ফ্রান্স প্রেস এ ব্যাপারে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দায়েশ বা আইএস সন্ত্রাসীরা ওই মাজারে হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। এমন সময় এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে যখন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইরানের শত্রুরা নিরাপত্তাহীনতা, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে উস্কানি দেয়ার জন্য সকল রাজনৈতিক শক্তি ও গণমাধ্যমকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, 'শিরাজ শহরের মাজারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা থেকে সন্ত্রাস ও সহিংসতায় প্ররোচনাকারীদের অশুভ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে গেছে। আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে শত্রুরা ইরানে নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন রকমের পরিকল্পনা তৈরি করে রেখেছে।

ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে শত্রুরা সবসময়ই বিপ্লবের লক্ষ্য আদর্শ ও ইরানের উন্নয়ন সমৃদ্ধি ঠেকানোর জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, সহিংসতা বিস্তার, প্রবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টির মতো নানা পন্থা অবলম্বন করেছে। ইরানি জনগণের মধ্যকার ঐক্য বিনষ্ট করাও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর সমস্ত হিসাব নিকাশ পাল্টে যায়। এ কারণে তারা সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দেয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ইরানের সরকার ব্যবস্থাকে উৎখাত করার জন্য দেশটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে। সন্ত্রাসীদের হামলায় এ পর্যন্ত কর্মকর্তাসহ ১৭ হাজারের বেশি ইরানি শহিদ হয়েছে।

আমেরিকা ও ইসরাইলসহ ইরানের সব শত্রুরা গত কয়েক বছরে সন্ত্রাসীদেরকে অর্থ সরবরাহ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে ইরানের পরমাণু বিজ্ঞানী ও সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। শত্রুদের ধারণা এভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইরানের অগ্রগতিকে রোধ করা যাবে। কিন্তু ইরান সবসময়ই তার পথ চলা অব্যাহত রাখবে।

ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, শত্রুরা হতাশ হয়ে নতুন করে ইরানে সহিংসতার বিস্তার ঘটিয়েছে কিন্তু ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী কুচক্রি মহলকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে এবং শত্রুদের উচিত শিক্ষা দেয়া হবে।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/২৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।