ইরানের ৩টি দ্বীপের ব্যাপারে আরব দেশগুলোর দাবির প্রতি চীনা সমর্থনের প্রতিক্রিয়া
(last modified Sun, 11 Dec 2022 12:33:07 GMT )
ডিসেম্বর ১১, ২০২২ ১৮:৩৩ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, তার দেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের সম্মান রক্ষার স্বার্থে কোনো পক্ষকেই নূন্যতম ছাড় দেয়া হবে না।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান শনিবার রাতে চীন এবং পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের যৌথ বিবৃতি এবং বুমুসা, তুম্বে কুচাক এবং তুম্বে বোজর্গ-এই তিনটি দ্বীপের ব্যাপারে বিবৃতিতে করা দাবির প্রতিক্রিয়ায় এক টুইট বার্তায় বলেছেন, পারস্য উপসাগরে অবস্থিত এই তিনটি দ্বীপ ইরানের পবিত্র ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এগুলো চিরকালই এই মাতৃভূমির অন্তর্ভুক্ত।

চীন এবং পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের যৌথ বিবৃতিতে ইরান সম্পর্কিত ইস্যুগুলো চারটি অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে। এর একটিতে বলা হয়েছে, নেতৃবৃন্দ আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে এবং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে তিনটি দ্বীপের বিষয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানোর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্যোগ, প্রস্তাবসহ সব ধরনের শান্তিপূর্ণ প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন করছে। 

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের এই পদক্ষেপকে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বেইজিংয়ের নজিরবিহীন অবস্থান এবং নীতির ইঙ্গিত হিসাবে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। কারণ বেইজিং এখনও পর্যন্ত তার ঘোষিত নীতিতে পশ্চিম এশিয়াসহ অন্য দেশগুলোর বিতর্কিত ইস্যুতে প্রবেশ করা থেকে বিরত রয়েছে। এ কারণে পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ সীমান্তের দেশগুলোর  ইরানবিরোধী অবস্থানের প্রকাশ্যে সঙ্গী হওয়া চীনের জন্য একটি অস্বাভাবিক অবস্থান এবং অবশ্যই তা ইরান-ফোবিয়ার ব্যর্থ নীতির পুনরাবৃত্তি।

এই ধরনের বৈঠকে আরব শাসকরা সাধারণত এই দ্বীপগুলির উপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথিত মালিকানার বিষয়টি উত্থাপন করে এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে।

চীন এবং পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্যরা এমন পরিস্থিতিতে এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছে যে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যখন সর্বদা এই তিনটি দ্বীপকে ইরানের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে এবং এই তিনটি দ্বীপের ব্যাপারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দাবি বারবার প্রত্যাখ্যান করার পাশাপাশি তা আলোচনার অযোগ্য হিসেবে বলে আসছে।

কিন্তু চীনের প্রেসিডেন্ট কেন পারস্য উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের সদস্যদের এই ইরানবিরোধী দাবির প্রতি সমর্থন দিয়েছেন তা ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সম্ভবত বেইজিংয়ের অর্থনৈতিক উদ্দেশ্যই সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য। চীন পারস্য উপসাগরের দক্ষিণে আরব দেশগুলোর সাথে সর্বাধিক মুনাফার উপর ভিত্তি করে একটি অর্থনীতিভিত্তিক নীতি অনুসরণ করে আসছে যেমন কাতারের সাথে গ্যাস চুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি সৌদি আরবের সাথে কৌশলগত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এই নীতির উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষক হাসান বেহেশতিপুর বলেছেন যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক চীনের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক পরিকল্পনার অংশ যা ২০১৩ সালে শুরু হয়েছিল এবং তা অব্যাহত রয়েছে।#

পার্সটুডে/এমবিএ/১১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ