ইরানি প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি
হিরমান্দ নদীর পানির হিস্যার ব্যাপারে আফগানিস্তানকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে
ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসি আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান গোষ্ঠীকে দ্রুত হিরমান্দ নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা ইরানকে বুঝে দেয়ার ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের সীমান্তে কয়েকটি প্রকল্প উদ্বোধনের সময় প্রেসিডেন্ট রাইসি এ আহ্বান জানান। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রদেশের লোকজনের অধিকার লঙ্ঘনের এই ঘটনা ইরান মোটেই বরদাস্ত করবে না।
সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের জনগণের পানির অধিকারকে আগের চুক্তিতে স্বীকার করা হয়েছে এবং কোনো সুনির্দিষ্ট সময়কালের জন্য তা প্রযোজ্য নয়।
প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেন, ‘আমি আফগান শাসকগোষ্ঠীকে বলবো আমার কথা যেন তারা হালকাভাবে না নেন, বরং তারা যেন গুরুত্ব সহকারে নেন। আমি আফগান কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করছি যে, সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশের জনগণের পানির অধিকার পরিপূর্ণ করার ব্যবস্থা নিন।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি আরো বলেন, “আফগান কর্মকর্তাদের জানা উচিত যে ইরান সরকার সব ক্ষেত্রে তার জনগণের অধিকার রক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হিরমান নদীর পানি পাওয়া প্রদেশের জনগণের অধিকার এবং আমরা সরকার হিসেবে জনগণের অধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ দেবো না।”
হেলমান্দ নদীর পানি ভাগাভাগি করার বিষয়ে ১৯৭৩ সালে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আলোকে ইরান তার পানির হিস্যা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে গত বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা করে আসছে। মার্কিন দখলদারিত্বের সময় এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আফগান সরকার এই নদীর পানি থেকে ইরানকে বঞ্চিত করেছে।
হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর পানির প্রবাহ যদি ইরানে যেতে না দেয়া হয় তাহলে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে যেসব আফগান শরণার্থী বসবাস করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা মারাত্মকভাবে পানির সংকটে পড়বে। চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তান ইরানকে পানি না দেয়ায় ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।#
পার্সটুডে/এসআইবি/এনএম/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।