‘এক মাসের মধ্যে হিরমান্দ নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে’
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i123420-এক_মাসের_মধ্যে_হিরমান্দ_নদীর_ন্যায্য_হিস্যা_নিশ্চিত_করতে_হবে’
ইরান ও আফগানিস্তানের যৌথ নদী হিরমান্দের পানি বণ্টন নিয়ে প্রায় অর্ধশতাব্দি আগে দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি সই হয়েছিল তা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য কাবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
মে ২১, ২০২৩ ০৮:৫৫ Asia/Dhaka
  • ‘এক মাসের মধ্যে হিরমান্দ নদীর ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করতে হবে’

ইরান ও আফগানিস্তানের যৌথ নদী হিরমান্দের পানি বণ্টন নিয়ে প্রায় অর্ধশতাব্দি আগে দু’দেশের মধ্যে যে চুক্তি সই হয়েছিল তা এক মাসের মধ্যে বাস্তবায়ন করার জন্য কাবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

ইরানের আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হাসান কাজেমি কোমি গতকাল আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, হিরমান্দ নদীতে বাধ দিয়ে তালেবান সরকার যে পানি প্রত্যাহার করছে তা যদি চুক্তি বাস্তবায়ন করার মতো যথেষ্ট হয় তাহলে ইরানকে পানি না দেয়ার জন্য কাবুলকে দায়ী থাকতে হবে।

হাসান কাজেমি কোমি বলেন, তালেবান কর্মকতারা ভালো করে জানেন যে, তারা যদি কাবুলে একটি স্থিতিশীল করার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে ইরানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে তালেবান সরকারকে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে।

হিরমান্দ বা হেলমান্দ নদীর পানি ভাগাভাগি করার বিষয়ে ১৯৭৩ সালে ইরান ও আফগানিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছিল। ওই চুক্তির আলোকে ইরান তার পানির হিস্যা নিশ্চিত করার জন্য ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে গত বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনা করে আসছে। মার্কিন দখলদারিত্বের সময় এই চুক্তি লঙ্ঘন করে আফগান সরকার এই নদীর পানি থেকে ইরানকে বঞ্চিত করেছে।

হিরমান্দ নদীর পানির প্রবাহ যদি ইরানে যেতে দেয়া না হয় তাহলে ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে যেসব আফগান শরণার্থী বসবাস করে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে তারা মারাত্মকভাবে পানির সংকটে পড়বে। চুক্তি অনুসারে আফগানিস্তান ইরানকে পানি না দেয়ায় ওই অঞ্চলের জীববৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মারাত্মক রকম নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।