জুন ২১, ২০২৩ ১৯:৪৬ Asia/Dhaka
  • পরমাণু স্থাপনায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করল ইরান

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থা বা এইওআই ইস্ফাহানের পরমাণু স্থাপনায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সংস্থার প্রধান মোহাম্মদ ইসলামি বলেছেন, এইওআই ইরানের জাতীয় সংসদে পাস হওয়া ‘নিষেধাজ্ঞা বিরোধী আইন ২০২০’ মেনে চলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

আজ (বুধবার) ইরানের মন্ত্রিসভার বৈঠকের অবকাশে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন মোহাম্মদ ইসলামি। এর আগে ইরানের কয়েকজন সংসদ সদস্য দাবি করেন, এইওআই স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যান টু কাউন্টার স্যাংশন আইনটি লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএ-কে ইস্ফাহানের পরমাণু স্থাপনায় নজরদারি ক্যামেরা বসানোর অনুমতি দিয়েছে।

ইরানি সংসদ সদস্যদের এই অভিযোগ সম্পর্কে মোহাম্মদ ইসলামি বলেন, "এই কথা সত্য নয়। ইস্পাহানে আমাদের এমন কোনো পরমাণু স্থাপনা নেই যেখানে ১০০ নজরদারি ক্যামেরা বসানো যায়। এইওআই কাজ করবে মূলত স্ট্র্যাটেজিক অ্যাকশন প্ল্যানের ভিত্তিতে।"

আমেরিকা ও পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে যে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তা মোকাবেলার লক্ষ্য নিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে ইরানের জাতীয় সংসদে অ্যাকশন প্ল্যান টু কাউন্টার স্যাংশন আইনটি পাস করা হয়। এই আইনে ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আইএইএ-এর পরিদর্শন ও নজরদারি সীমিত করার জন্য ইরানি প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার দিক নির্দেশনা দিয়েছে।

এই আইনে পরিষ্কার করে বলা হয়েছে- ২০১৫ সালে সই হওয়া পরমাণু সমঝোতার বাইরে গিয়ে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি সম্পর্কে কোনো পদক্ষেপ নেয়া যাবে না।এই আইন পাশের পর ইরানের পরমাণু স্থাপনার বেশ কিছু ক্যামেরা খুলে ফেলা হয়। আইনটি পাসের আগে আইএইএ ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে নজরদারি ক্যামেরা বসিয়েছিল।#

পার্সটুডে/এসআইবি/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ