‘গণদাবি প্রত্যাখ্যান করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বৈঠক করতে দিয়েছে ফ্রান্স’
(last modified Mon, 03 Jul 2023 03:19:49 GMT )
জুলাই ০৩, ২০২৩ ০৯:১৯ Asia/Dhaka
  • নাসের কানয়ানি
    নাসের কানয়ানি

ইরানের ইসলামি সরকারবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী মুজাহেদিনে খালক বা এমকেও’কে ফ্রান্সের মাটিতে বৈঠক করতে দেয়ায় প্যারিস সরকারের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ইরান। তেহরান সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এই ঘটনার রাজনৈতিক ও আইনগত পরিণতি ফ্রান্স সরকারকেই ভোগ করতে হবে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি রোববার তেহরানে এ প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, ফ্রান্সে যখন তীব্র সরকারবিরোধী আন্দোলন হচ্ছে এবং সারাদেশে বলতে গেলে আগুন জ্বলছে তখন একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে বৈঠক করতে দিয়ে প্যারিস সরকার প্রমাণ করেছে, নিজ দেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতি তার বিন্দুমাত্র সম্মান নেই বরং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি তার পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রয়েছে।

গত শনিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে একটি বৈঠক করে এমকেও যেখানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

এ সম্পর্কে কানয়ানি আরো বলেন, ইরানি জনগণকে হত্যাকারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার মতো ভুল না করে ফ্রান্স সরকারের উচিত ছিল নিজের অভ্যন্তরীণ ইস্যুর দিকে মনযোগী হওয়া। কিন্তু তা না করে এমন একটি গোষ্ঠীকে বৈঠক করার অনুমতি দিয়েছে যে গোষ্ঠী সম্প্রতি আলবেনিয়ায় নিজেদের জন্য লজ্জা বয়ে এনেছে।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লব হওয়ার পর ইরানের ইসলামি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ব্যাপকভিত্তিক সন্ত্রাসবাদ শুরু করে এমকেও। বিগত চার দশকে সন্ত্রাসী হামলায় যে ‌১৭,০০০ ইরানি নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে এমকেও’র হাতে নিহত হয়েছেন প্রায় ১২,০০০ ইরানি।

এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যরা ১৯৮০’র দশকে ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় ইরাকের পক্ষ নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ইরাকের সাবেক সাদ্দাম সরকার এমকেও’র সদস্যদেরকে দেশটিতে বসবাস করার সুযোগ করে দিয়েছিল। কিন্তু ২০১৬ সালে ইরাকের তৎকালীন নূরি আল-মালিকি সরকার এমকেও’র সন্ত্রাসীদের ইরাক থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয়।

এ সময় ইরানবিরোধী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক আমেরিকা এসব সন্ত্রাসীকে গ্রহণ করার জন্য আলবেনিয়াকে অনুরোধ জানায়। আলবেনিয়া মার্কিন অনুরোধে এমকেওকে ‘কয়েক বছরের জন্য’ থাকার অনুমতি দেয়।

গত ২০ জুন আলেবেনিয়ার পুলিশ এমকেওর একটি ক্যাম্পে অভিযান চালায়। বিভিন্ন বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসী ও সাইবার হামলা চালানোর’ অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ওই অভিযান চালায় আলবেনিয়ার পুলিশ। রাজধানী তিরানার শহরতলীতে ‘আশরাফ-৩’ নামক ক্যাম্পে চালানো ওই অভিযানের সময় সংঘর্ষে একজন এমকেও সন্ত্রাসী নিহত ও কয়েক ডজন লোক আহত হয়। আলবেনিয়ার পুলিশ সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহার করার অভিযোগে ক্যাম্পটি থেকে ১৫০টি কম্পিউটার জব্দ করে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ