পারস্য উপসাগরের ‘অরাশ’ গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে বিরোধ
গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে সমস্যা হবে না: ইরান
পারস্য উপসাগরের একটি গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে মতবিরোধ কোনো বড় সমস্যা নয় বলে মন্তব্য করেছে ইরান। তেহরান বলেছে, দু’দেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তার ভিত্তিতে সহজেই এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সিনিয়র উপদেষ্টা আলী আসগার খাজি রোববার তেহরানে আরবি নিউজ চ্যানেল আল-মাসিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, পারস্য উপসাগরের ‘অরাশ’ গ্যাস ক্ষেত্র নিয়ে ইরান মোটেও চিন্তিত নয়।কুয়েতের সঙ্গে ইরানের সুসম্পর্ক ধরে রাখার ক্ষেত্রে এই গ্যাসক্ষেত্র কোনো অন্তরায় হবে না। কুয়েতে গ্যাসক্ষেত্রটি আদ-দুররা নামে পরিচত।
খাজি বলেন, ইরান ও কুয়েতের ঐতিহাসিক অবস্থানের ভিত্তিতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এই গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক নিরসন করা সম্ভব। তিনি বলেন, কিছু গণমাধ্যম কুয়েতের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কে ফাটল ধরানোর জন্য বিষয়টিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে বড় করে তুলে ধরছে।
পারস্য উপসাগরে ইরান ও কুয়েতের পানি সীমান্তের একটি অনির্ধারিত স্থানে অবস্থিত অরাশ গ্যাসক্ষেত্র সম্পর্কে একজন কুয়েতি কর্মকর্তার বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পর ইরানের এই কূটনীতিক এসব কথা বললেন। ওই কুয়েতি কর্মকর্তা দাবি করেন, অরাশ গ্যাসক্ষেত্রের মালিকানা কুয়েত ও সৌদি আরবের। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কুয়েতের পানিসীমা ঠিকমতো চিহ্নিত করা হলে এই গ্যাসক্ষেত্রের সিংহভাগ ইরান সীমান্তের মধ্যে থাকবে।
গত বছর ইরানকে বাদ দিয়ে এই গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়ন ও এর সম্পদ উত্তোলনের ব্যাপারে একটি চুক্তি করেছে কুয়েত ও সৌদি আরব।ইরান তখন এ ব্যাপারে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।
এ সম্পর্কে আলী আসগর খাজি বলেছেন, গ্যাসক্ষেত্রটির সম্পদ বণ্টনের ব্যাপারে গত কয়েক বছরে তেহরান ও কুয়েত সিটি বহুবার কারিগরী বৈঠক করেছে। কাজেই শান্তিপূর্ণ উপায়েই এটির মালিকানা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের অবসান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।#
পার্সটুডে/এমএমআই/২৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।