ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪ ১৬:৫০ Asia/Dhaka
  • ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (বামে) ও প্রেসিডেন্ট (ডানে)
    ইরানের সর্বোচ্চ নেতা (বামে) ও প্রেসিডেন্ট (ডানে)

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, গাজার দুঃখ-দুর্যোগ কেবল মুসলিম বিশ্বের দুর্যোগ নয় বরং তা গোটা মানবতার দুর্যোগ। গাজা পরিস্থিতি পশ্চিমা সভ্যতার আসল চেহারা-চরিত্র সব ফাঁস করে দিয়েছে। পশ্চিমা সভ্যতায় এমন চরম নির্মমতাও গ্রহণযোগ্য যে, তারা হাসপাতালে হামলা চালাতে পারে, একরাতে শত শত মানুষকে হত্যা করতে পারে। তারা মাত্র চার মাসে প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে।  তিনি আরও বলেন, গাজার ঘটনা থেকে বিশ্ব ব্যবস্থার অকার্যকারিতা বোঝা যায়।

তিনি বলেন, গাজা ইস্যুতে বিভিন্ন দেশের সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে রাজনৈতিক, প্রচারণাগত, অস্ত্র খাত ও নিত্যপণ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বন্ধ করা। আর বিভিন্ন দেশের জনগণ বা জাতির দায়িত্ব হলো সরকারের জন্য উল্লেখিত দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্ট সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা। ইনশাআল্লাহ ক্রমেই গাজাবাসীর বিজয় স্পষ্টতর হয়ে উঠবে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজ (বৃহস্পতিবার) মহানবী (স.)'র নবুয়তপ্রাপ্তি দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূত, প্রতিনিধি এবং ইরানের প্রেসিডেন্টসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি সব মুসলমানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বিশ্বের সব মুসলমানের প্রতি হজরত মুহাম্মাদ (সা.)'র নবুয়তপ্রাপ্তি দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। দৃঢ়তার সঙ্গে এটা বলা যায়, মানব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও পবিত্র ঘটনা হচ্ছে মহানবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.)'র নবুয়তপ্রাপ্তি।

তিনি বলেন, গোটা মানবজাতি বর্তমানে এবং সব সময় ইসলামের নবীর শিক্ষার মুখাপেক্ষী। রাসূলে খোদা সে সময় যেমন মানুষকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখার এবং মূর্তি ভাঙার আহ্বান জানাতেন আজও সেই আহ্বানের উপযোগিতা রয়েছে। আমরা  মহানবী ও তার নবুয়তপ্রাপ্তির প্রতি মুখাপেক্ষী। 

মুসলমানেরা যদি নিজেরা সংশোধিত হয়ে মানব জাতির সামনে খাঁটি ইসলামের আদর্শ তুলে ধরতে পারে তাহলে মানব জাতি ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।#

পার্সটুডে/এসএ/৭

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

 

ট্যাগ