বিশ্বের ঘৃণিত সরকারে পরিণত হয়েছি, এখানেই থামুন: ইসরাইলি যুদ্ধবিরোধী গোষ্ঠী
-
ইসরাইলের যুদ্ধবিরোধী মিছিল
পার্সটুডে- গাজা যুদ্ধের ২০ মাস পর নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ইসরাইলি সমাজে প্রতিবাদের ঝড় তীব্রতর হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলের বহু মানুষ বিশেষকরে সেনাবাহিনীর বহু সাবেক সদস্য এবং কিছু রাজনীতিবিদও অবিলম্বে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ পত্রিকা ফিনান্সিয়াল টাইমস এক নিবন্ধে গাজা যুদ্ধ সম্পর্কে ইহুদিবাদী ইসরাইলের বাসিন্দাদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সচেতনতার কথা উল্লেখ করে লিখেছে, যুদ্ধের বিরোধিতাকারী ইসরাইলিদের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমস জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা গাজায় ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির দাবির পাশাপাশি অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবি জানাচ্ছে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দখলদার ইসরাইলের অভ্যন্তরে আরও কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে লক্ষণীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মূলধারার ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলোও গাজায় মানুষের মৃত্যুর ছবি সম্প্রচার শুরু করেছে। এটা সীমিত সংখ্যায় হলেও একে পরিবর্তনই বলতে হবে।
বন্দীদের মুক্তির জন্য বিক্ষোভের পাশাপাশি যুদ্ধবিরোধী কর্মীরা ফিলিস্তিনিদের জন্য শোক প্রকাশ করেছেন। এমন যুদ্ধবিরোধী কর্মীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে এবং শত শত যুদ্ধবিরোধী কর্মী শনিবার রাতে মোমবাতি ও শহীদ শিশুদের ছবি নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন।
ইসরাইলি পত্রিকা ইয়েদিয়ুথ আহারোনোত সম্প্রতি গাজায় অনাহারে একটি শিশুর মৃত্যুর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের ছবিও তারা প্রকাশ করেছে।
ফিনান্সিয়াল টাইমসের মতে- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইহুদ ওলমার্ট এবং সাবেক উপ-সেনাপ্রধান ইয়ার গোলানের মতো ব্যক্তিত্বরা সম্প্রতি দীর্ঘদিনের প্রচলিত নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছেন। ওলমার্ট হারেৎজ পত্রিকায় এক উপ-সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, দখলদার ইসরাইল গাজায় যুদ্ধাপরাধ করছে এবং চলমান যুদ্ধকে ধ্বংসের যুদ্ধ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গোলান সতর্ক করে বলেন, ইসরাইল একটি ঘৃণিত রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।#
পার্সটুডে/এসএ/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।