মার্চ ১২, ২০২৪ ১৪:৪৯ Asia/Dhaka

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সংস্কৃতি ও ইসলামি দিকনির্দেশনা বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মাদ মাহদি ইসমাইলি বলেছেন, আমেরিকার নেতৃত্বে কিছু দেশ নিজেদেরকে মানবাধিকারের ধারক-বাহক হিসেবে তুলে ধরে নিজেদের পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু এরাই আসলে ন্যায়কামী জাতিগুলোর শত্রু। এরাই অন্য দেশ ও জাতির ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিচ্ছে, মানুষ হত্যা করছে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি গাজায় আমেরিকার পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতায় চলমান গণহত্যার কথা তুলে ধরেন।

ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও বলেন, গাজা তথা ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বললে তা প্রকাশের পথে বাধা সৃষ্টি করছে। আমেরিকা মত প্রকাশের স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সব সময় মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, 'মত প্রকাশের স্বাধীনতা কেবল ততক্ষণ পর্যন্তই তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য ও প্রশংসনীয় যতক্ষণ এটি তাদের নিপীড়নমূলক নীতির প্রতি আঘাত না করে। মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন  এবং মার্কিন সমর্থিত ইহুদিবাদী ইসরাইলের তীব্র নিন্দা জানানোর পর সামাজিক মাধ্যমে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর তথ্য কেন্দ্রের পেজগুলো বন্ধ করে দিয়েছে মার্কিন কোম্পানি মেটা। আমেরিকা যে মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয় তা এই ঘটনার মধ্যদিয়ে প্রমাণিত হয়েছে। স্প্যানিশ ভাষায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতার বই '১৪ নম্বর সেল' প্রকাশের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ভেনিজুয়েলার কারাকাসে সিমন বলিভার বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত সেমিনারে পাঠানো এক বার্তায় ইরানি সংস্কৃতি মন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।  

এর আগে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুক পেজ ব্লক করার পদক্ষেপকে বাক স্বাধীনতার পরিপন্থী হিসেবে বর্ণনা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি এই পদক্ষেপকে অবমাননাকর, অনৈতিক এবং নিয়ম-বহির্ভূত বলে অভিহিত করেন। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি 'মেটা' ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম পেজ বন্ধ করে দিয়েছে।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা সব সময় বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে কথা বলেছেন। ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্ববাসীকে যৌক্তিক দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। সর্বোচ্চ নেতার বক্তব্য যাতে বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতে না পারে সে লক্ষ্যে পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তাঁর বক্তব্য প্রকাশ হলেও তা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। এছাড়া আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ীর বক্তব্য সম্বলিত লেখার রিচ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে যাতে বেশি মানুষের কাছে ঐ বার্তা পৌঁছাতে না পারে।

‌আসলে পশ্চিমারা মত প্রকাশের স্বাধীনতার যে শ্লোগান দিচ্ছে তা ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই নয়, এর সবই কেবলি লোকদেখানো। তারা কেবল এসব শ্লোগানের মাধ্যমে নিজেদের অবৈধ রাজনৈতিক লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলোকে ঢেকে রাখতে চায়।

গাজায় ৫ মাসে ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এমন গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা কখনো বাক স্বাধীনতা বা মত প্রকাশের স্বাধীনতা হতে পারে না।#

পার্সটুডে/এসএ/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ