ব্রিটেন যেভাবে ইরান ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i136476-ব্রিটেন_যেভাবে_ইরান_ও_জাপানের_মধ্যকার_সম্পর্ক_ছিন্ন_করেছিল
ইরান ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙার ঐতিহাসিক ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার এবং তেহরানে তাদের দূতাবাস প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
এপ্রিল ০৯, ২০২৪ ১৬:১৬ Asia/Dhaka
  • দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল
    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল

ইরান ও জাপানের মধ্যকার সম্পর্ক ভাঙার ঐতিহাসিক ঘটনায় ব্রিটিশ সরকার এবং তেহরানে তাদের দূতাবাস প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।

১৯৪২ সালে ইরান দখলের পর, ইরান সরকারের উপর মিত্র বাহিনীর চাপে এদেশের রাষ্ট্রদূতকে টোকিও থেকে প্রত্যাহার করা হয় এবং জাপানের সাথে ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়।

ব্রিটেন মনে করেছিল যে তেহরানে জাপানি দূতাবাসের তৎপরতা তাদের স্বার্থের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।

যদিও দুই দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ইরান সরকার জাপানের সাথে সম্পর্ক অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছিল, কিন্তু ব্রিটেন তেহরানে জাপানিদের অব্যাহত উপস্থিতিকে মিত্রদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করতো।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের পরাজয়ের পর, জাপানের সাথে যুদ্ধরত অনেক দেশের মতো ইরানও সান ফ্রান্সিসকো শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে এবং ১৯৫১ সালর  ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে জাপানের সাথে শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। ওই একই মাসে নয় মাস পর তেহরান ও টোকিও আবারো কূটনৈতিক সম্পর্ক ও দূতাবাস স্থাপন করে। 

ইরানের তেল শিল্পের জাতীয়করণ আন্দোলনের সময়, যখন ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল কেনার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, তখন জাপানই একমাত্র দেশ যারা তেল কেনার জন্য ইরানে একটি জাহাজ পাঠিয়েছিল।

জাপানের ওই অবস্থান এখনও ইরানিদের মনে আছে এবং এর পর থেকে ইরান ও জাপানের মধ্যে রাজনৈতিক সম্পর্ক দিন দিন জোরদার হয়েছে। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৯