এপ্রিল ১২, ২০২৪ ১১:৫০ Asia/Dhaka
  • আগ্রাসীকে শাস্তি দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, দামেস্কে ইরানের কনসুলেট ভবনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর আগ্রাসী শক্তিকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে বৈধ প্রতিরক্ষা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বায়েরবককে একথা বলেছেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গতকাল দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে টেলিফোনে আলাপ হয়। এ সময় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের চালানো গণহত্যার ব্যাপারে জার্মান সরকার নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ায় তার সমালোচনা করেন ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

গত পহেলা এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনসুলেট ভবনে ইহুদিবাদী ইসরাইলের চালানো হামলায় ইরানের সাতজন সামরিক উপদেষ্টা শহীদ হন। এ ঘটনার প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে তেহরান। এ সম্পর্কে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, যখন ইসরাইলের অবৈধ সরকার কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের দায়মুক্তির বিষয়টি এবং আন্তর্জাতিক আইন সম্পূর্ণভাবে লংঘন করছে তখন বৈধ প্রতিরক্ষা অপরিহার্য।

গতকালের ফোনালাপ নিয়ে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দুই মন্ত্রী আঞ্চলিক ঘটনাবলী এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ব্যাপারে কথা বলেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, দুই মন্ত্রী সংলাপ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।

আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইহুদিবাদী ইসরাইল হচ্ছে দখলদার শক্তি এবং এই দখলদার শক্তিকে প্রতিরোধ করার বৈধ অধিকার রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে চলমান সমস্যার একমাত্র সমাধান হচ্ছে গাজায় গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধ বন্ধ করা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানি ইরানের মানবাধিকার নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছিল সে ব্যাপারে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসানের জন্য জার্মানির পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। তিনি বলেন, মানবাধিকার সংক্রান্ত কোনো ইস্যুতে জার্মানি ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ভিত্তিহীন অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করবে না বলে আশা করে তেহরান। পাশাপাশি ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিদিন যে হাজার হাজার নারী ও শিশু মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হচ্ছে তাদের রক্ষার জন্য জার্মানি কাজ করবে।

২০২২ সালে কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুকে ঘিরে ইরানের ভেতরে যে বিশৃঙ্খলা হয়েছিল সে ব্যাপারে জাতিসংঘ একটি তদন্ত মিশন প্রতিষ্ঠা করে। এই তদন্ত মিশনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত ফেব্রুয়ারি মাসে জার্মানি জাতিসংঘের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। বিষয়টি ইরান ইতিবাচকভাবে দেখেনি।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন

 

 

ট্যাগ