ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর তথ্য
ইসরাইলে অভিযান চালানোর আগে ও পরে আমেরিকাকে জানানো হয়েছে
ইসলামী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, গত শনিবার (দিবাগত) রাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে ইরান যে ‘ট্রু প্রমিজ’ নামে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার আগে এবং পরে আমেরিকাকে এ সম্পর্কে জানানো হয়েছিল। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান জানিয়েছেন, গত শনিবার (দিবাগত) রাতে ইহুদিবাদী ইসরাইলের ভেতরে ইরান যে ‘ট্রু প্রমিজ’ নামে সামরিক অভিযান চালিয়েছে তার আগে এবং পরে আমেরিকাকে এ সম্পর্কে জানানো হয়েছিল।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য নিউইয়র্কে পৌঁছানোর পর ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে আমির আবদুল্লাহিয়ান এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “অভিযান চালানোর আগে আমরা আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছিলাম এবং অভিযান শেষ করার পর রোববার সকালে আমরা আমেরিকাকে আরেকটি বার্তা দিয়ে জানিয়েছিলাম যে, মধ্যপ্রাচ্যে আমরা আর উত্তেজনা চাই না।”
আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, “দামেস্কে ইরানি কলসুলেট ভবনে ইহুদিবাদী ইসরাইল সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাদের সামরিক উপদেষ্টাদের শহীদ করার পর আমরা আঞ্চলিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধৈর্য ধারণ করেছিলাম এবং জাতিসংঘ মহাসচিবকে নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় আমরা ইসরাইলের বিরুদ্ধে জবাব দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং বিষয়টি আমরা আমেরিকাকে অবগত করি।”
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা আমেরিকাকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছি যে, প্রেসিডেন্টের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ ইহুদিবাদী ইসরাইলকে শাস্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং বিষয়টি নিশ্চিত ও চূড়ান্ত হয়েছে। রোববার রাত আড়াইটার দিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক অভিযান পরিচালনার পর আমরা কূটনৈতিক চ্যানেলে আমেরিকাকে আরেকটি বার্তা দিই যে, আমরা এ অঞ্চলে আর উত্তেজনা বাড়াতে চাই না।”
আমির আব্দুল্লাহিয়ান আরো জানান, আমেরিকাকে আগেই বলা হয়েছিল যে, ইরানি হামলা থেকে মার্কিন ঘাঁটি ও স্বার্থ নিরাপদ থাকবে যদি তারা ইহুদিবাদী ইসরাইলের পক্ষে সমর্থন দিয়ে ইরানে বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে না পড়ে।
ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এ সমস্ত বার্তা প্রধানত সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের মাধ্যমে আমেরিকাকে দেয়া হয়েছে কারণ ইরানে সুইস দূতাবাস মার্কিন স্বার্থ দেখাশোনা করে থাকে। ইরান এ সমস্ত তথ্য দিয়েছিল এই জন্য যাতে সঠিক বোঝাপড়াটা সৃষ্টি হয় এবং বৃহত্তর পরিসরে উত্তেজনা বা যুদ্ধ এড়ানো সম্ভব হয়।
নিউ ইয়র্ক সফরের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, তিনি নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন যেখানে মধ্যপ্রাচ্য এবং ফিলিস্তিনের চলমান ঘটনাবলী নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, জাতিসংঘের এই বৈঠক আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ইরানের নিজের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার একটি ভালো সুযোগ।#
পার্সটুডে/এসআইবি/১৮
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।
