পবিত্র ঈদে গাদির উপলক্ষে সমাবেশ
বিজাতীয়রা ইরানি জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারণের সুযোগ পাবে না: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী গাদিরের ঘটনাকে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার ক্ষেত্র প্রস্তুতকারী হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, ইসলামি শাসন ব্যবস্থা যে জনগণ কেন্দ্রিক হতে হবে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে প্রত্যেকের সক্রিয় ভূমিকার যে প্রভাব রয়েছে তা আমরা আমাদের অভিভাবক ও নেতা আলী (আ.)'র কাছ থেকে শিখেছি।
আজ (মঙ্গলবার) পবিত্র ঈদে গাদির উপলক্ষে ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে ইরানের বিপুল সংখ্যক মানুষের এক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছেন সর্বোচ্চ নেতা। তিনি ঈদে গাদির উপলক্ষে বিশ্বের সব মুসলমানকে শুভেচ্ছা জানান।
তেহরানে ইমাম খোমেনী (রহ.) হুসাইনিয়াতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্রের অস্তিত্বের সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা মিশে আছে। জনগণকে ইসলামি পদ্ধতি ও মনোভাব ধারণ করে মাঠে থাকতে হবে। আর এই মাঠে থাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বহিঃপ্রকাশ হলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ। এর অর্থ হলো ইসলামি ইরান প্রকৃত অর্থেই একটি প্রজাতন্ত্র।
তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনে ইরানি জাতির সম্মান দুটি বিষয়ের সাথে যুক্ত: নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী বাছাইকরণ। বেশি ভোটার উপস্থিতির ওপর আমরা বার বার জোর দিই, কারণ তা ইসলামি প্রজাতন্ত্রের জন্য সম্মান বয়ে আনে। ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের শত্রু রয়েছে। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের শত্রুদের পরাস্ত করার একটি উপায় হলো আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বেশি মাত্রায় ভোটার উপস্থিতি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী কে-এমন প্রশ্নের অবতারণা করে তিনি এর উত্তরে বলেন, তিনিই যোগ্য প্রার্থী যিনি প্রকৃতপক্ষেই ইসলামি বিপ্লবের মূলনীতিতে বিশ্বাসী, যিনি দক্ষ ও অক্লান্ত পরিশ্রমী। যে প্রার্থীর মধ্যে এই গুণাবলী রয়েছে সে-ই দেশের সমস্ত সক্ষমতা কাজে লাগাতে পারবে।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, আল্লাহর রহমতে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ পর্যন্ত প্রমাণ করেছে তারা বিদেশীদের উপর নির্ভর না করেই এগিয়ে যেতে সক্ষম এবং এ পর্যন্ত এগিয়ে গেছে। শত্রুদের অপতৎপরতা ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইরান এগিয়েছে। অন্যেরা ভাগ্য নির্ধারণ করে দেবে এমন কোনো পরিস্থিতি ভবিষ্যতেও ইরানি জাতি মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী বলেন, বিদেশিদের ওপর নির্ভর না করার মানে বিশ্বের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করা নয়, এর অর্থ হচ্ছে জাতীয় বীরত্ব ও জাতীয় স্বাধীনতা। ইরানি জাতি যদি তার ব্যক্তিত্ব, সক্ষমতা, স্বাধীনতা ও উন্নয়ন-শক্তি বিশ্বের সামনে তুলে ধরে তাহলে বিশ্বে আমাদের সম্মান আরও অনেক বেড়ে যাবে। #
পার্সটুডে/এসএ/২৫
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।