ইরানি গবেষকদের অভাবনীয় সাফল্য; জিন থেরাপির মাধ্যমে বংশগত অন্ধত্ব প্রতিরোধ
(last modified Thu, 25 Jul 2024 10:52:15 GMT )
জুলাই ২৫, ২০২৪ ১৬:৫২ Asia/Dhaka
  • ইরানি গবেষকদের অভাবনীয় সাফল্য; জিন থেরাপির মাধ্যমে বংশগত অন্ধত্ব প্রতিরোধ
    ইরানি গবেষকদের অভাবনীয় সাফল্য; জিন থেরাপির মাধ্যমে বংশগত অন্ধত্ব প্রতিরোধ

পার্সটুডে- ইরানের কয়েকজন গবেষক অপ্টিমাইজড রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাল ভেক্টর উদ্ভাবনের মাধ্যমে চোখের বংশগত রোগ ‘রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা’য় আক্রান্ত রোগীদের অন্ধত্ব প্রতিরোধে সফল হয়েছেন।

রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসা (Retinitis pigmentosa) রেটিনার এক প্রকার অবক্ষয় এবং বংশগত অন্ধত্বের সবচেয়ে সাধারণ প্রকারগুলির একটি। প্রায় দুই হাজার পাঁচশ’ জনের মধ্যে একজন এই রোগে আক্রান্ত হন যা প্রথমে রাতকানার দিকে নিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ অন্ধত্বের দিকে পরিচালিত করে।  পার্সটুডে’র রিপোর্ট অনুসারে, ইরানের সিনিয়র গবেষক মারিয়াম হাকশেনাস এ সম্পর্কে বলেছেন: উপরোক্ত রোগের চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পদক্ষেপগুলির একটি হল কার্যকর জিন স্থানান্তরের জন্য অপ্টিমাইজড রিকম্বিন্যান্ট ভাইরাল ভেক্টর উৎপাদন করা।

হাকশেনাস বলেন, রেটিনাইটিস পিগমেন্টোসার চিকিৎসার জন্য এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে একটি ভাইরাস তৈরি করা হয়েছে যার ভেতরে এই জিনের একটি সুস্থ সংস্করণ রয়েছে।

এই ইরানি গবেষক বলেন: উত্পাদিত ভাইরাসটি রোগীর চোখে ইনজেকশন দেয়ার পর পূর্বোক্ত জিন রেটিনাল কোষের ধ্বংস প্রতিরোধ করে। হাকশেনাস জোর দিয়ে বলেন, এই জিন থেরাপি প্রযুক্তির কোনোটিই এখন পর্যন্ত ইরানে প্রচলিত ছিল না এবং ইরানে প্রথমবারের মতো এই গবেষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ করা যায় যে, নিষেধাজ্ঞার শিকার হওয়া সত্ত্বেও ইরানে বিশ্বের মোট বিজ্ঞানভিত্তিক উত্পাদনের শতকরা ২ ভাগ উৎপাদিত হয় যা মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ইরানকে শীর্ষ অবস্থানে নিয়ে গেছে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।