মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর বক্তৃতা: তেহরানের প্রতিক্রিয়া
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আমেরিকায় ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নাসের কানয়ানি চাফি বলেছেন: অবৈধ ইসরাইলের শীর্ষ অপরাধী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজায় ৯ মাস ধরে গণহত্যা এবং শিশুহত্যার পর তাদের প্রধান মদদদাতা আমেরিকায় রয়েছেন।
বার্তা সংস্থা তাসনিম জানায়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি চাফি ইহুদিবাদী ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সফরের কথা উল্লেখ করে তার অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দিয়েছেন।
পোস্টে তিনি লিখেছেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী গাজায় ৯ মাস ধরে গণহত্যা এবং শিশুহত্যার মতো অপরাধ করেছেন। সেই শীর্ষ অপরাধী এখন তার মদদদাতাদের কাছে রয়েছেন। তিনি আরও লিখেছেন: কয়েক দশক ধরে পশ্চিমা সভ্যতার প্রতারকরা বিশ্ববাসীর কাছে নিজেদেরকে নির্দোষ এবং মানব-হিতৈষী হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করে এসেছে। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা পানিতে নকশা করার মতোই ব্যর্থ হয়ে গেছে। কেননা ইসরাইলের পৃষ্ঠপোষকতা করার মধ্য দিয়ে আমেরিকার রাজনীতির বীভৎস এবং হিংস্র চেহারা সারা বিশ্বের কাছে প্রকাশ হয়ে গেছে।
কানয়ানি আরও বলেন: আমেরিকা এবং ইউরোপীয় নেতাদের মুখ থেকে শোনা সবচেয়ে হাস্যকর একটি স্লোগান হল মানবাধিকারের স্লোগান। ফিলিস্তিনিদের মানবিক অধিকার ছিল তাদের জীবনের নিরাপত্তা, পানি, খাদ্য, ওষুধ এবং চিকিত্সাসহ মৌলিক মানবীয় অধিকারগুলো পাওয়া। গাজা উপত্যকা এবং পশ্চিম তীরে বিশ্ববাসীর চোখের সামনে সবচেয়ে ভয়ঙ্করভাবে তাদের ওই অধিকারগুলো পদদলিত করা হয়েছে এবং হচ্ছে। তেল আবিবের কসাইয়ের হাতে এখনও প্রতিদিন ফিলিস্তিনি শিশুরা জবাই হচ্ছে। এতোসব অপরাধের পরেও আমেরিকার সরকার এবং কংগ্রেস ওই জল্লাদ নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানিয়েছে।অবৈধ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বুধবার (২৪ জুলাই,২০২৪) মার্কিন কংগ্রেসে যথারীতি মিথ্যাচার করে বক্তব্য রাখেন। মার্কিন কংগ্রেসের ১২৮ জন প্রতিনিধি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বক্তৃতা বয়কট করেছিলেন। তারা ওই বৈঠকে যোগ দেন নি।
তবে মিশিগানের মুসলিম ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি রাশিদা তালিবও কংগ্রেসে উপস্থিত ছিলেন। তাঁর হাতে ছিল একটি প্ল্যাকার্ড। প্ল্যাকার্ডের একপাশে লেখা ছিল "গণহত্যার অপরাধী" এবং অপরপাশে লেখা ছিল "যুদ্ধাপরাধীকে গ্রেপ্তার করতে হবে"। মার্কিন কংগ্রেসে নেতানিয়াহুর উপস্থিতিতেই রাশিদা তালিব ওই প্রতিবাদ জানান।#