আমাদের কি আত্মরক্ষা করারও অধিকার থাকতে নেই?
(last modified Wed, 31 Jul 2024 04:06:44 GMT )
জুলাই ৩১, ২০২৪ ১০:০৬ Asia/Dhaka
  • আমাদের কি আত্মরক্ষা করারও অধিকার থাকতে নেই?

পার্সটুডে- ইহুদিবাদী ইসরাইলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের ন্যায়সঙ্গত আত্মরক্ষা করার অধিকার সম্পর্কে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডা যে পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ করেছে তাকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানয়ানি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

ইহুদিবাদী ইসরাইল গত পহেলা এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কস্থ ইরান দূতাবাসের কনস্যুলেট ভবনে ভয়াবহ বিমান হামলা চালায়। হামলায় ভবনটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয় এবং ইরানের সাতজন পদস্থ সামরিক উপদেষ্টা শাহাদাতবরণ করেন। ওই ভয়াবহ অপরাধের জবাবে ইরান ১৪ এপ্রিল ‘ট্রু প্রমিজ’ নামে এক অভিযান চালায় যাতে ইসরাইলের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন নিক্ষেপ করা হয়। পার্সটুডে ফার্সির রিপোর্ট অনুযায়ী, সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীরা এক যৌথ বিবৃতিতে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার কথা চেপে গিয়ে ইরানের ইসরাইলবিরোধী প্রতিশোধমূলক হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। অথচ জাতিসংঘ ঘোষণার ৫১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, ইরান অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গতভাবে ওই প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে।

নাসের কানয়ানি এ সম্পর্কে বলেন: আন্তর্জাতিক আইনকানুন সম্পর্কে এই তিন দেশের দ্বৈত অবস্থান ও বর্ণবাণী ইসরাইল সরকারের প্রতি এসব দেশের শোচনীয় পক্ষপাতিত্ব মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিরসনে সহায়তা তো করবেই না বরং উল্টো গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ গণহত্যা চালাতে যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল সরকারকে উস্কে দেবে। তিনি বলেন, ওই তিন দেশ ইরানের ন্যায়সঙ্গত আত্মরক্ষা করার অধিকার উপেক্ষা করেছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার প্রধানমন্ত্রীদের পক্ষপাতদুষ্ট অভিযোগ এমন সময় উত্থাপিত হলো যখন এসব দেশ ইসরাইলকে অস্ত্র সহযোগিতা দিয়ে গাজার নিরপরাধ মানুষের বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যার অংশীদারে পরিণত হয়েছে। তাদের এই পদক্ষেপের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হয়েছে।

নাসের কানয়ানি আরো বলেন: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার অপরাধ এখানেই শেষ নয়, এসব দেশ অতীতে ইরাক ও আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ইঙ্গো-মার্কিন আগ্রাসনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করেছে।

তিনি সবশেষে আরো বলেন: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান যেকোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সব সময় জাতিসংঘ ঘোষণা মেনে চলে। সেইসঙ্গে ইরান দৃঢ়ভাবে একটি কথা বলে দিতে চায়, বিশ্বের যেকোনো আগ্রাসী শক্তি যদি ইরানের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিনষ্ট করতে চায় তাহলে অত্যন্ত শক্তিমত্তার সঙ্গে তার জবাব দেয়া হবে।#

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/৩১

ট্যাগ