ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লজ্জাজনক বক্তব্যকে অমানবিক বললেন বাকায়ি
(last modified Tue, 19 Nov 2024 03:35:40 GMT )
নভেম্বর ১৯, ২০২৪ ০৯:৩৫ Asia/Dhaka
  • বাকায়ি: গাজায় গণহত্যা হচ্ছে না বলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অমানবিক
    বাকায়ি: গাজায় গণহত্যা হচ্ছে না বলে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা অমানবিক

পার্সটুডে- গাজায় চলমান জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টিকে অস্বীকার করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তাকে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র চরম ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক অমানবিক বলে মন্তব্য করেছেন।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি বলেছেন: গাজায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ওই সাবেক উপনিবেশবাদী দেশটির রাষ্ট্রীয় বর্ণবাদী নীতিরই অংশ। ওই নীতি অনুসরণ করে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইহুদিবাদী ইসরাইলকে সব ধরনের মারণাস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করার মাধ্যমে লন্ডন গাজায় চলমান অপরাধযজ্ঞে তেল আবিবের সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, বাকায়ি আরো বলেন, ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে গাজায় গণহত্যার ব্যাপারে তৃপ্তির ঢেকুর তোলার আভাস পাওয়া যাচ্ছে যা চরম ভয়ঙ্কর ও মারাত্মক অমানবিক। এর মাধ্যমে তিনি নিজের উপনিবেশবাদী মানসিকতার পরিচয় দেয়ার পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ বর্ণবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং ইউরোপজুড়ে যে ইসলাম-বিদ্বেষী নীতি বাস্তবায়ন হচ্ছে তার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

ইসমাইল বাকায়ি এ সম্পর্কে নিজের অফিসিয়াল এক্স পেজে লিখেছেন: আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালত ও আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্টে গাজার ওপর ইসরাইলের চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধকে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  তবে এ ব্যাপারে নতুন করে যে লজ্জাজনক বিষয়টি সামনে এসেছে তা হচ্ছে, ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে গাজায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের বিষয়টি অস্বীকার করা। 

তিনি আরো বলেন: ফিলিস্তিনের মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি গত মার্চ মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন: ইসরাইল ফিলিস্তিনিদের ওপর যে  গণহত্যা চালাচ্ছে তা একটি ঔপনিবেশিক পরিকল্পনার আকারে ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করার দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়ার তীব্র পর্যায়। তিনি গত মাসে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদনে এ বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন যে: যখন গোটা বিশ্ব প্রথমবারের মতো কোনো ঔপনিবেশিক গণহত্যা টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি প্রত্যক্ষ করছে, তখন শুধুমাত্র ন্যায়বিচারই রাজনৈতিক সুবিধার দ্বারা সৃষ্ট এই ক্ষতের গভীর সংক্রমণ নিরাময় করতে পারে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি সম্প্রতি বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাশবিক হামলায় শহীদ ফিলিস্তিনির সংখ্যা লাখ লাখ না হওয়ার কারণে এটি জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বলা যাবে না। লেমি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দেয়া বক্তৃতায় আরো বলেন: রুয়ান্ডার গণহত্যা কিংবা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেমন কয়েক মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়েছে সেরকম কোনো সংকট তৈরি হলেই কেবল তাকে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বলা যায়; অন্য কোনো ক্ষেত্রে নয়।#

পার্সটুডে/এমএমআই/১৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।