বৃক্ষরোপণ দিবসে ইমাম খামেনেয়ীর গাছ লাগানোর কিছু ছবি ও বক্তব্য
(last modified Thu, 06 Mar 2025 12:20:05 GMT )
মার্চ ০৬, ২০২৫ ১৮:২০ Asia/Dhaka
  • বৃক্ষরোপণ দিবসে ইমাম খামেনেয়ীর গাছ লাগানোর কিছু ছবি ও বক্তব্য

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী বৃক্ষরোপণ দিবস উপলক্ষে গতকাল (বুধবার) সকালে তিনটি চারা রোপণ করেছেন।

চারা রোপণের পর আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী খামেনেয়ী বৃক্ষরোপণকে লাভজনক, দূরদর্শী এবং সম্পদ উৎপাদনকারী কাজ হিসেবে অভিহিত করেন। গত বছর শহীদ রায়িসির সরকারের সময় শুরু হওয়া জাতীয় বৃক্ষরোপণ আন্দোলন গুরুত্বের সঙ্গে অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, "বৃক্ষরোপণকে সৎকর্ম বা সওয়াবের কাজ হিসেবে বিবেচনা করে তাতে সব মানুষেরই অংশগ্রহণ করা উচিৎ যাতে গাছের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে বসবাসের পরিবেশ এবং জীবিকা নির্বাহের পথ সতেজ ও নির্মল হয়ে ওঠে।"

ইসলামী বিপ্লবের নেতা প্রতি বছর নিজের পক্ষ থেকে বৃক্ষরোপণকে একটি প্রতীকী কাজ হিসেবে গণ্য করে সবাইকে এ কথা মনে করিয়ে দেন যে, বৃক্ষরোপণ কেবল তরুণদের জন্য নয় এবং বিভিন্ন বয়সের সকল মানুষেরই এই গুরুত্বপূর্ণ, মহান, প্রয়োজনীয় ও মহৎ কাজের জন্য উৎসাহ ও প্রেরণা খুঁজে পাওয়া উচিত। 

এখানে সর্বোচ্চ নেতার গাছ লাগানোর কিছু ছবি ও বক্তব্য তুলে ধরা হলো:

 

সর্বোচ্চ নেতা বলেন, বৃক্ষরোপণ বিভিন্ন দিক থকে একটি লাভজনক বিনিয়োগ এবং তা সম্পদের উৎস। তিনি আরও বলেন, "গাছ লাগানোর উদ্দেশ্য সেটা ফলের জন্যই হোক আর মূল্যবান কাঠের জন্যই হোক তা পুরোপুরি লাভজনক কাজ, এতে কোনো ক্ষতি নেই।"

 

তিনি গাছপালাকে নির্মল বায়ুর উৎস এবং পরিবেশ-প্রকৃতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরে বলেন, " গাছপালা ও সবুজ প্রকৃতি জীবনযাপনের পরিবেশে সতেজতা ও নির্মলতা নিয়ে আসে। স্বাস্থ্যগত ও বস্তুগত সুবিধা ছাড়াও তা মানুষের চোখ জুড়িয়ে দেয় ও হৃদয়কে প্রফুল্ল করে। সবুজ পরিবেশ আত্মাকে প্রশান্তি দেয়।

 

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা শহীদ রায়িসির শাসনামলে শুরু হওয়া জাতীয় বৃক্ষরোপণ আন্দোলনকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে বলেন, "গত বছর শুরু হওয়া এই আন্দোলন এখনও চলমান রয়েছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, চার বছরে একশ’ কোটি গাছ লাগানোর পরিকল্পনা বাস্তবসম্মত এবং এই বিষয়ে সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।"

 

গাছ কাটা এবং কৃষি জমি অন্য কাজের ক্ষেত্রে রূপান্তরের বিরুদ্ধে সতর্ক করে দিয়ে আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, কারিগরি কারণ ব্যতীত এবং অতি প্রয়োজন ছাড়া গাছ কাটা ক্ষতিকর এবং বিপদজনক। বন ধ্বংস এবং কৃষি জমিকে অন্য কাজের ক্ষেত্রে রূপান্তর করা রোধ করতে হবে।

 

তিনি তেহরান এবং অন্যান্য কিছু শহরে এই বিষয়ে যেসব ভালো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলোর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, এসব কাজ অব্যাহত রাখতে হবে।

বৃক্ষরোপণ সওয়াবের কাজ, বৃক্ষরোপণ আন্দোলনকে গুরুত্ব দিতে হবে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা  #

পার্সটুডে/এসএ/৬

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।