কেন ইরানের অভিজ্ঞতা আফ্রিকান দেশগুলোর উন্নয়নে সুবর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে?
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i151144
পার্সটুডে - আফ্রিকান দেশগুলো যখন অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ এবং নতুন প্রযুক্তির অভাবের সম্মুখীন তখন, ইরান তার প্রযুক্তিগত, প্রকৌশল এবং জ্ঞান-ভিত্তিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
(last modified 2025-08-13T11:00:20+00:00 )
আগস্ট ১৩, ২০২৫ ১৬:৫৫ Asia/Dhaka
  • • ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কৃষি জিহাদ মন্ত্রী গোলাম রেজা নুরি কেজেলজেহ
    • ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কৃষি জিহাদ মন্ত্রী গোলাম রেজা নুরি কেজেলজেহ

পার্সটুডে - আফ্রিকান দেশগুলো যখন অবকাঠামোগত চ্যালেঞ্জ এবং নতুন প্রযুক্তির অভাবের সম্মুখীন তখন, ইরান তার প্রযুক্তিগত, প্রকৌশল এবং জ্ঞান-ভিত্তিক ক্ষমতার উপর নির্ভর করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের কৃষি মন্ত্রী “গোলাম রেজা নুরি কেজেলজেহ”, কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত ইরান ও কেনিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক ৭ম যৌথ কমিশনের সম্মেলনে বলেন যে আমরা আমাদের সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞান কেনিয়ায় স্থানান্তর করতে আগ্রহী।

নুরি কেজেলজেহ আরও বলেন: ইরান এবং কেনিয়া প্রজাতন্ত্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিকাশ দুই দেশের যৌথ কমিশনের এজেন্ডায় রয়েছে এবং উভয় পক্ষের লক্ষ্য ১০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য অর্জন করা।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন: স্বাক্ষরিত সমঝোতা ও দলিল অনুসরণের জন্য ইরান ও কেনিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বিষয়ক একটি যৌথ কমিটি গঠন, যৌথ প্রদর্শনী আয়োজন, ব্যাংকিং সহযোগিতা জোরদার করা এবং বিদ্যমান বাধাগুলি দূর করা, কেনিয়াকে ককেশাস এবং মধ্য এশিয়ার সাথে সংযোগকারী একটি সেতুতে রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করা এবং দুই দেশের বেসরকারি খাতের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করা দুদেশের এজেন্ডায় রয়েছে।  

ইরান-কেনিয়া যৌথ অর্থনৈতিক সহযোগিতা কমিশনের সভাপতিত্ব করবেন ইরানের কৃষিমন্ত্রী এবং কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী "মুসালিয়া মুদাওয়াদি"।

কেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে আরও বলেন: আমরা ইরান ও কেনিয়ার মধ্যে একটি যৌথ কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছি। আমরা কেনিয়ার ব্যবসায়ীদেরকে ইরানের সাথে অভিজ্ঞতা বিনিময় থেকে উপকৃত হতে উৎসাহিত করি।  তারা দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার জন্য যৌথ কমিশন জোরদার এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

ইরানের বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক সক্ষমতা রয়েছে যা আফ্রিকান দেশগুলির জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। রাস্তা নির্মাণ, নির্মাণ, তেল, গ্যাস এবং পেট্রোকেমিক্যালের ক্ষেত্রে বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষমতা এই সক্ষমতাগুলির মধ্যে রয়েছে। আফ্রিকার কারিগরি ও প্রকৌশল পরিষেবা বাজারের মূল্য এক লাখা কোটি ডলারেরও বেশি বলে অনুমান করা হয়, যার মধ্যে ইরানের অবদান উল্লেখযোগ্য। ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিল্প যন্ত্রপাতি, পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য এবং খাদ্যের মতো ইরানি পণ্যেরও আফ্রিকান বাজারে কার্যকরভাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ রয়েছে।

৫৫টি দেশ নিয়ে আফ্রিকা মহাদেশ একটি বৃহৎ বাজার। এই মহাদেশের রপ্তানি ও আমদানি লেনদেন প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলার, যা ইরানের জন্য অনন্য সুযোগ এনে দিয়েছে। "ইরানএক্সপো ২০২৫" এবং "তৃতীয় ইরান-আফ্রিকা অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ সম্মেলন" এর মতো অনুষ্ঠানগুলি ইরানের সক্ষমতা তুলে ধরার এবং আফ্রিকান অংশীদারদের আকর্ষণ করার জন্য একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম প্রদান করেছে।

ইরান কূটনীতি ব্যবহার করে একটি সক্রিয় এবং নিয়মতান্ত্রিক বৈদেশিক নীতির কাঠামোর মধ্যে আফ্রিকান দেশগুলির সাথে তার সম্পর্ক সম্প্রসারণের চেষ্টা করছে। আফ্রিকায় সক্রিয় উপস্থিতি ইরানের আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক প্রভাব বৃদ্ধিতে সহায়তা করতে পারে। ঐতিহ্যবাহী বাজারের উপর নির্ভরতা হ্রাস করা এবং উন্নয়নশীল দেশগুলির সাথে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ইরানের প্রতিরোধ অর্থনৈতিক কৌশলের অংশ। ইরান এবং অনেক আফ্রিকান দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক মিলগুলি আরও গভীর এবং আরও টেকসই সহযোগিতার পথও প্রশস্ত করবে।#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/১৩

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।