ইরাকে ইরানের হস্তক্ষেপ নিয়ে আমেরিকার বক্তব্য খুবই হাস্যকর: ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ
https://parstoday.ir/bn/news/event-i153278-ইরাকে_ইরানের_হস্তক্ষেপ_নিয়ে_আমেরিকার_বক্তব্য_খুবই_হাস্যকর_ইরাকি_নিরাপত্তা_বিশেষজ্ঞ
একজন ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এক বিবৃতিতে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, "এটা খুবই হাস্যকর যে ওয়াশিংটন ইরাকের বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের কথা বলছে।"
(last modified 2025-10-27T13:35:51+00:00 )
অক্টোবর ২২, ২০২৫ ১১:২২ Asia/Dhaka
  • ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল করিম খালাফ
    ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আব্দুল করিম খালাফ

একজন ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এক বিবৃতিতে তার দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, "এটা খুবই হাস্যকর যে ওয়াশিংটন ইরাকের বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের কথা বলছে।"

আজ বার্তাসংস্থা ইরনা জানিয়েছে, আল-নুজাবা নেটওয়ার্কের "জুমলা আল-মাফিদা" আলোচনা অনুষ্ঠানে আব্দুল করিম খালাফ, দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির সাথে টেলিফোনে কথোপকথনে ইরাকি প্রতিরোধকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাম্প্রতিক দাবির প্রতিক্রিয়ায় এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে, ইরাকের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক হস্তক্ষেপকে অন্য যেকোনো বিদেশী প্রভাবের চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করেন। তিনি যোগ করেন: এমন সময় ইরাকে ইরানের হস্তক্ষেপ সম্পর্কে আমেরিকার দাবি উত্থাপন করা হয়েছে যখন ওয়াশিংটন নিজেই ইরাকের সমস্ত রাজনৈতিক, আইনি এবং সামাজিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।

তিনি বলেন: "এটা হাস্যকর, সত্যিই হাস্যকর যে আমেরিকা ইরাকের বিষয়ে ইরানের হস্তক্ষেপের কথা বলছে; যদিও খোদ আমেরিকাই ইরাকের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে।"

ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আরও বলেন: "বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস আমাদের দেশের বিভিন্ন আইনের ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি হস্তক্ষেপ করে; নারী সম্পর্কিত আইন থেকে শুরু করে জাফরি ​​মাজহাবের আইন এবং পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস সম্পর্কিত আইন পর্যন্ত প্রভৃতি নানা বিষয়ে মার্কিন দূতাবাস ব্যাপক  হস্তক্ষেপ করে এবং রাজনীতিবিদদের উপর, বিশেষ করে সুন্নি, কুর্দি এবং শিয়াদের উপর সরাসরি চাপ প্রয়োগ করে।"

খালাফ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ভূমিকার কথাও উল্লেখ করে বলেন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত কখনও কখনও স্পষ্ট এবং দাম্ভিক কাজ করেন এবং এমনকি কিছু শিয়া রাজনীতিবিদদের উপরও ব্যাপক চাপ প্রয়োগ করেন।

তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হস্তক্ষেপের কথাও উল্লেখ করে বলেন: “সকলেরই মনে আছে কিভাবে ট্রাম্পের দূত রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের জোট পরিবর্তন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছিলেন যা একটি কেলেঙ্কারিতে পরিণত হয়েছিল।”

ইরাকি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ আরও বলেন: "প্রতি বছর, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জাতীয় জরুরি অবস্থা বৃদ্ধি করেন এবং প্রেসিডেন্টের ডিক্রির মাধ্যমে ইরাকি সম্পদ জব্দ করেন।"

তিনি বলেন: “কোন আন্তর্জাতিক আইন কোনো দেশের প্রধানকে ইরাকি সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে এবং চাপের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেয়?”#

পার্সটুডে/এমআরএইচ/২২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।