যুদ্ধ-পরবর্তী জরিপ: আমেরিকা-ইউরোপের প্রতি ইরানিদের অবিশ্বাস বেড়েছে
-
পশ্চিমাদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে ইরানি সমাজ
পার্সটুডে: তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের 'সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অ্যালামনাই এসোসিয়েশন' ১২ দিনের যুদ্ধের পর আমেরিকা ও ইউরোপ সম্পর্কে ইরানিদের দৃষ্টিভঙ্গি সংক্রান্ত সাতটি মূল বিষয় প্রকাশ করেছে।
ইরান ও ইহুদিবাদী ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে পরিচালিত বিভিন্ন স্বনামধ্যম গবেষণা ও জরিপ কেন্দ্রের মতামতের ভিত্তিতে আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কিত সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল প্রকাশ করেছে। যেসব প্রতিষ্ঠান এই জরিপগুলো পরিচালনা করেছে যেগুলো হলো- মজলিস রিসার্চ সেন্টার, আরা অপিনিয়ন পোলিং সেন্টার এবং আইআরআইবি রিসার্চ সেন্টার।
প্রকাশিত এই গবেষণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো হলো: আমেরিকার প্রতি গভীরতর অবিশ্বাস, নেতিবাচক মনোভাব ও ক্ষোভ; ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি আরও তীব্র নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি; পশ্চিমাদের ইসরায়েল সমর্থনের বিষয়টি স্পষ্ট উপলব্ধি এবং আমেরিকার আলোচনায় প্রতারণামূলক মনোভাবের ধারণা।
জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছে-
- ৭৯ শতাংশ ইরানি বিশ্বাস করেন, সাম্প্রতিক যুদ্ধে আমেরিকা ও ইসরায়েলের লক্ষ্য শুধু ইরানের রাজনৈতিক ব্যবস্থা নয়, বরং ইরানের জনগণও সরাসরি হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল।
- ইরানের ৭৩ শতাংশ জনগণের মন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুভূতি "ঘৃণা ও ক্ষোভে" ভরপুর।
- ৭০ শতাংশ ইরানির দৃষ্টিভঙ্গি ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতি 'নেতিবাচক'। এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ মনে করেন যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আগের তুলনায় আরও নেতিবাচক হয়েছে।
- ৭৬ শতাংশ ইরানি এ ধারণার বিপক্ষে যে: “ইসরায়েল অবিশ্বাসযোগ্য হলেও আমেরিকার ওপর ভরসা করা যায়।”
- ইরানের ৬৬% জনগণ মনে করেন, ইউরোপীয় দেশগুলো (ব্রিটেন, জার্মানি ও ফ্রান্স) সাম্প্রতিক যুদ্ধে ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে।
- ইরানের ৬৫% জনগণের ট্রাম্পের কথায় একেবারেই আস্থা নেই।
- ৬৪ শতাংশ ইরানি বিশ্বাস করেন, যুদ্ধের আগেই আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পুরো প্রক্রিয়াটি কেবল ইরান আক্রমণের জন্য প্রতারণামূলক কৌশল ছিল।
পার্সটুডে/এমএআর/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।