বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় স্থান পেল ২,৫০০ ইরানি
https://parstoday.ir/bn/news/iran-i152990-বিশ্বের_শীর্ষ_গবেষকদের_তালিকায়_স্থান_পেল_২_৫০০_ইরানি
পার্সটুডে- বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকের নতুন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আড়াই হাজারেরও বেশি ইরানি গবেষক স্থান পেয়েছেন।
(last modified 2025-10-14T11:38:39+00:00 )
অক্টোবর ১৪, ২০২৫ ১৬:১৫ Asia/Dhaka
  • বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় স্থান পেল ২,৫০০ ইরানি
    বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের তালিকায় স্থান পেল ২,৫০০ ইরানি

পার্সটুডে- বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষকের নতুন তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আড়াই হাজারেরও বেশি ইরানি গবেষক স্থান পেয়েছেন।

প্রতিবছর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক স্কোপোস ডাটাবেস এবং এলসেভিয়ার প্রকাশনা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের একটি তালিকা প্রকাশ করে, যা “বিশ্বের শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষক” নামে পরিচিত। এই তালিকার উদ্দেশ্য হলো এমন গবেষকদের চিহ্নিত ও উপস্থাপন করা, যাদের বৈজ্ঞানিক কাজ বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক প্রভাব ও উদ্ধৃতি অর্জন করেছে।

এই গবেষক দলটি প্রতিবছর দুটি পৃথক তালিকা প্রকাশ করে:
প্রথমত- এক বছরের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে প্রভাবশালী গবেষকদের তালিকা তৈরি করা হয।

দ্বিতীয়ত- গবেষকের পুরো একাডেমিক জীবনের পারফরম্যান্স বিবেচনায় “দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবশালী গবেষকদের তালিকা তৈরি করা হয়।

২০২৫ সালের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, এক বছরের পারফরম্যান্সে মোট  দুই লাখ ৩৬ হাজার ৩১৩ জন গবেষকের মধ্যে ২ হাজার ৫৩৩ জন ইরানি গবেষক অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। এই তালিকায় ইরানি গবেষকের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২০৭ জন বেড়েছে।

একইভাবে, ২০২৫ সালের “দীর্ঘমেয়াদি একাডেমিক পারফরম্যান্স” তালিকায় ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৩৩ জন আন্তর্জাতিক গবেষকের মধ্যে এক হাজার ২০১ জন ইরানি রয়েছেন — যা গত বছরের তুলনায় ১৮৩ জন বেশি। পাঁচ বছরের তুলনামূলক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এই তালিকায় ইরানি গবেষকদের সংখ্যা প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কীভাবে নির্ধারণ করা হয় শীর্ষ দুই শতাংশ গবেষক?

এই মূল্যায়নে প্রতিটি গবেষকের জন্য একটি সমন্বিত সূচক সি-স্কোর গণনা করা হয়, যেখানে ছয়টি মানদণ্ড বিবেচনা করা হয়— যেমন মোট উদ্ধৃতি সংখ্যা, এইচ ইনডেক্স এবং সেই প্রবন্ধগুলোয় প্রাপ্ত উদ্ধৃতি যেখানে গবেষক প্রথম, শেষ বা একমাত্র লেখক ছিলেন।

এরপর প্রতিটি ক্ষেত্রে সেই সব গবেষককে নির্বাচন করা হয়, যারা তাদের বিশেষায়িত ক্ষেত্রে শীর্ষ দুই শতাংশের মধ্যে পড়েন এবং যাদের সি-স্কোর অনুসারে বিশ্বব্যাপী শীর্ষ এক লাখ গবেষকের তালিকায় স্থান হয়।

এই সূচকে গবেষকদের কেবলমাত্র প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা বা উদ্ধৃতির সংখ্যা দিয়ে নয়, বরং উভয়ের ভারসাম্যপূর্ণ প্রভাবের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়। ফলে কোনো গবেষকের প্রবন্ধ সংখ্যা কম হলেও, যদি তার কাজ বেশি উদ্ধৃত হয়, তবে তার সি-স্কোর তুলনামূলকভাবে বেশি হতে পারে।#

পার্সটুডে/এসএ/১৪

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।