মাশহাদের গওহারশাদ মসজিদ: টাইলস ও লতাপাতার কারুকাজের জন্য বিখ্যাত
(last modified Mon, 01 Aug 2016 18:38:12 GMT )
আগস্ট ০২, ২০১৬ ০০:৩৮ Asia/Dhaka
  • গওহারশদ মসজিদ, মাশহাদ
    গওহারশদ মসজিদ, মাশহাদ

ইসলামী স্থাপত্যকলার ইতিহাসে একটি বিষয় বেশ গুরুত্বের দাবি রাখে। তাহলো মসজিদ এবং সেগুলোর স্থাপত্যশৈলী পর্যালোচনা। মসজিদ এবং তার চমৎকার স্থাপত্য সমকালের একনিষ্ঠ বর্ণনাকারী। এগুলোর সুন্দর নির্মাণরীতি থেকেই অনুমান করা যায় মুসলমান জাতি কতটা সৌন্দর্যপ্রিয়।

‘মাশহাদ’ আরবি শব্দ। অর্থ শাহাদাত বরণ করার স্থান। যেহেতু এখানে ইমাম রেযা শাহাদাত বরণ করেছেন এবং তাঁর মাযারও এখানে অবস্থিত তাই এ শহরের নাম মাশহাদ।

গওহারশদ মসজিদ, মাশহাদ 

১৩৩৩ সালে ইবনে বতুতা এ শহর ভ্রমণ করেন। তিনি মাশহাদকে ফুল-ফল-বৃক্ষ আর নানা রঙের টাইলসে সমৃদ্ধ মাযারের শহর হিসেবে আখ্যা দেন। পরবর্তী সময়ে ১৪১৮ সালে তৈমুরীয় শাসক শাহরুখ মির্যার স্ত্রী গওহারশদ ইমাম রেযা (আ.)-এর মাযারের পাশে একটি বিশাল মসজিদ নির্মাণ করেন। এটি গওহারশাদ মসজিদ নামে অভিহিত।

গওহারশদ মসজিদ প্রাঙ্গণ

গওহারশদ মসজিদটি টাইলসের কাজ, লতাপাতার কারুকাজ আর সুন্দর নকশার জন্যে বিখ্যাত। এই মসজিদের ভেতরে যেসব কারুকাজ করা হয়েছে সেগুলোকে তৈমুরী আমলের অনন্য কাজের নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয়।

গওহারশদ মসজিদের মিনার ও গম্বুজ

চার বারান্দা বিশিষ্ট এই মসজিদটি পুরোপুরিই ইরানী স্টাইলে নির্মিত। শাহরুখ তিমুরীর স্ত্রী গওহারশদ খাতুনের আদেশে ১৪১৮ খ্রিষ্টাব্দে এই মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছে। ইরানের বিখ্যাত স্থপতি কাওয়াম উদ্দিন শিরাযির তত্ত্বাবধানে মসজিদটি নির্মিত হয়। এই ভদ্রমহিলার আদেশে এই মসজিদটির মতোই আরেকটি মসজিদ নির্মিত হয়েছিল আফগানিস্তানের হেরাতে। সেখানেই তাঁকে দাফন করা হয়েছে।#

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২

ট্যাগ