ইস্ফাহানের শেখ লুৎফুল্লাহ মসজিদ, সাফাভি আমলের অনন্য স্থাপত্যশিল্প
ইরানের ঐতিহাসিক ও সুন্দর মসজিদগুলোর একটি হলো ইস্ফাহান শহরের শেখ লুৎফুল্লাহ জামে মসজিদ। খ্রিস্টিয় সপ্তম শতকে এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। এই মসজিদটি সাফাভি আমলের টাইলসের কারুকাজ আর স্থাপত্যরীতির অনন্য উদাহরণ। পুরাতত্ত্ব গবেষকদের কাছে তাই এই মসজিদটি বেশ আদরণীয় ও মর্যাদার অধিকারী।
এই মসজিদটি কয়েক দিক থেকে ব্যতিক্রমধর্মী। প্রথমত. এর কোনো মিনার নেই। এই মসজিদের কোনো আঙিনাও নেই। আরো মজার ব্যাপার হলো- এই মসজিদটি যেহেতু নাকশে জাহানের পূর্বদিকে অবস্থিত, সেহেতু মসজিদের প্রবেশদ্বার পূর্বদিকে হবার কথা ছিল না। কিন্তু তাই হয়েছে। তবে মেধাবী নির্মাণ শিল্পীরা কেবলা সমস্যার সমাধান করার জন্যে প্রবেশপথটাকে সামান্য পেঁচিয়ে নিয়ে সুন্দরভাবে বিন্যস্ত করেছেন। এটা দেখার বিষয়। বর্ণনা দিয়ে বোঝানো কঠিন।
তবে এই মসজিদটিতে যেসব নকশা বা ডিজাইন করা হয়েছে তা এককথায় বিস্ময়কর। বিশেষ করে মসজিদের গম্বুজটিতে যে অসাধারণ নকশা করা হয়েছে তা ইরানের শ্রেষ্ঠ ডিজাইনগুলোর একটি। এই গম্বুজে রঙের ব্যবহার, ডিজাইন এবং টাইলসের কারুকাজ খুবই নিপুণ।
তার মধ্যে ইরানের শ্রেষ্ঠ ক্যালিগ্রাফিস্ট আলী রেযা আব্বাসীর চারুলিপীকর্ম দেখলে চোখের পলক ফেলা দায়। মার্কিন ইরানবিদ আর্থার পোপ এ মসজিদটির ব্যাপারে বলেছেন, ছোটোখাটো কোনো ত্রুটিও এই মসজিদটির নির্মাণ কাঠামোয় লক্ষ্য করা যায় নি। তদুপরি এর ডিজাইন এবং তার পরিমাপ যথেষ্ট সুন্দর, শক্তিমান এবং শিল্পিত।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৫