ইরান থেকে ভারী পানি না কিনতে অন্য দেশকে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা!
(last modified Mon, 04 Dec 2017 10:18:09 GMT )
ডিসেম্বর ০৪, ২০১৭ ১৬:১৮ Asia/Dhaka
  • আরাক হেভি ওয়াটার প্রডাকশন প্লান্ট
    আরাক হেভি ওয়াটার প্রডাকশন প্লান্ট

ইরানে উৎপাদিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভারী পানি বিক্রির জন্য বেশ কিছু দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সংসদের পরমাণু বিষয়ক কমিটির প্রধান মোজতাবা জোন্নুর। তেহরান থেকে ভারী কিনতে আমেরিকা অস্বীকৃতি জানানোর পর তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ইরানের ভারী পানির মজুদ ১৩০ টনের নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করায় অতিরিক্ত অংশ বিক্রি করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় ওই সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছিল।

ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতার পর বিশ্ব নেতারা

আমেরিকার সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন ২০১৬ সালের শেষের দিকে ঘোষণা দিয়েছিল যে তারা ইরান থেকে ৮০ লাখ ডলার অর্থ মূল্যের ভারী পানি কিনবে। তবে গত মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরান থেকে ভারী পানি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। ইরানের সাংসদ জোন্নুর বলেন, মার্কিন প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত পরমাণু সমঝোতা পত্র বা জেসিপিওএ'র চেতনার বিরোধী।

তিনি আরো বলেন, "ওয়াশিংটনের এ পদক্ষেপ পরমাণু সমঝোতার লঙ্ঘন নয় তবে এটি সমঝোতার চেতনার বিরোধী। সমঝোতার ধারা অনুযায়ী ইরান থেকে ভারী পানি কেনার ব্যাপারে আমেরিকা বাধ্য নয়। তবে তারা যদি তেহরান থেকে ভারী পানি কিনতে অন্যান্য দেশকে বাধা সৃষ্টি করে কিংবা এই বিষয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে তাহলে তা পরমাণু সমঝোতাকে লঙ্ঘন করবে।"

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৪  

ট্যাগ