ইরানে পালিত হচ্ছে পরমাণু প্রযুক্তি দিবস; উন্মোচিত হলো ৮৩ সাফল্য
(last modified Mon, 09 Apr 2018 04:54:39 GMT )
এপ্রিল ০৯, ২০১৮ ১০:৫৪ Asia/Dhaka
  • ইরানে পালিত হচ্ছে পরমাণু প্রযুক্তি দিবস; উন্মোচিত হলো ৮৩ সাফল্য

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানে আজ (সোমবার) জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী তেহরানসহ বড় শহরগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত বিজ্ঞানীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হচ্ছে। মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে রাজধানী তেহরানে। সেখানে স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি উপস্থিত থাকবেন।

প্রেসিডেন্ট সরাসরি চারটি সাফল্য উন্মোচন করেছেন। এছাড়া ৭৯টি সাফল্য ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্মোচন করা হয়েছে।

২০০৬ সালের এ দিনে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. মাহমুদ আহমাদিনেজাদ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাধ্যমে পরমাণু জ্বালানি চক্র সংক্রান্ত প্রযুক্তি পুরোপুরি আয়ত্ব করার বিষয়টি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে ইরানে ফার্সি ২০ ফারভারদিন জাতীয় পরমাণু প্রযুক্তি দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাতসহ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইরানের ওপর পাশ্চাত্যের কয়েক দশকের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও তেহরান নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওই অত্যাধুনিক ও জটিল প্রযুক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

পরমাণু ক্ষেত্রে এ সাফল্য ইরানের সার্বিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কারণ নানা ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তির ব্যবহার রয়েছে। এ জন্যই আজকাল বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের উন্নয়ন কর্মসূচিতে পরমাণু প্রযুক্তি অর্জনের বিষয়টি ব্যাপক গুরুত্ব পাচ্ছে। 

ইরান আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) সদস্য হয়েছিল ১৯৫৮ সালে এবং ১৯৬৮ সালে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে (এনপিটি) সই করে। ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থা গঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। ‌আর ইসলামী বিপ্লবের বিজয়ের পর ইরান পরমাণু ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জন এবং পরমাণু জ্বালানি চক্র পুরোপুরি আয়ত্ব করার ওপর ব্যাপক গুরুত্ব দেয়। এরপরই বিদ্যুৎ উৎপাদন,চিকিৎসা,শিল্প ও কৃষিকাজে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে।# 

পার্সটুডে/সোহেল আহম্মেদ/৯ 

ট্যাগ