বিমান বাহিনীর অষ্টম সামরিক মহড়া ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তির প্রতীক
(last modified Sat, 12 Jan 2019 12:08:51 GMT )
জানুয়ারি ১২, ২০১৯ ১৮:০৮ Asia/Dhaka

ইরানের বিমান বাহিনীর অষ্টম সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। ডিফেন্ডার্স অব বেলায়েত স্কাইস-৯৭ নামের ২ দিনের ওই সামরিক মহড়া ইরানের কেন্দ্রস্থানীয় প্রদেশ ইস্পাহানের ‘শাহিদ বাবাই’বিমান ঘাঁটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইরানের বিমান বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করা এবং শত্রুর হুমকি থেকে আকাশসীমা রক্ষা করার লক্ষে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় প্রকৃত যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে। গতকাল মহড়ার শেষদিনে যুদ্ধ পরিস্থিতির ভেতর ইরানি যুদ্ধবিমান উড়িয়ে অত্যাধুনিক ম্যাভরিক ক্ষেপণাস্ত্র সাফল্যের সঙ্গে নিক্ষেপ করা হয়েছে।

এই মহড়ায় সুখোই সু-২৪,এফ-৪,এফ-৭ ফ্যান্টম,মিগ-২৯,এফ-১৪ জঙ্গি বিমান,বোয়িং ৭০৭ এবং জ্বালানি ভরার কাজে ব্যবহৃত ৭০৪৭ বিমান, রকেট,পরিবহন বিমান সি-১৩০ হারকিউলিসের পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার স্মার্ট বোমা সজ্জিত পাইলটবিহীন বিমানও অংশ নিয়েছে।

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি গত সপ্তায় ইরানের শিরাজ প্রদেশে বলেছেনে ইরানের প্রতিরক্ষা শক্তি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতি মুহূর্তে অত্যাধুনিক করে তুলতে হবে।তিনি বলেছেন, শত্রুরা যদি এক মুহূর্তের জন্যও ইরানের দুর্বলতা টের পায়, তাহলে প্রতিরক্ষা যুদ্ধের মতো ষড়যন্ত্রমূলক একটা যুদ্ধ চাপিয়ে দেবে।সুতরাং শত্রুদের যে-কোনো হুমকি মোকাবেলায় সদা সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

অপরদিকে ইরানের বিমান বাহিনীর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ বলেছেন,বিদেশি শক্তির যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় তার দেশ সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরো বলেন,আমরা যতই প্রস্তুতি নেব এ অঞ্চলের নিরাপত্তার পরিস্থিতি ততই উন্নত হবে এবং এখানে বিদেশী সামরিক উপস্থিতির কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা আঞ্চলিক জাতি এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছে শান্তি ও বন্ধুত্বের বার্তা দিচ্ছি। কোনো দেশের ওপর আগ্রাসন আমাদের লক্ষ্য নয়।

প্রতিরক্ষা যুদ্ধের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইরান যে-কোনো ধরনের আগ্রাসন মোকাবেলায় নিজেদের শক্তি ও সামর্থ্য ব্যাপক বৃদ্ধি করেছে। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে ইরানের বিমান বাহিনীর সাফল্য উল্লেখযোগ্য।

মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'হাডসন ইনস্টিটিউট' ইরানকে নয়া অষ্টম বৃহত্তর শক্তি বলে অভিহিত করেছে।

এই মহড়ার উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রকেট এবং বোমাসহ লেজার নিয়ন্ত্রিত,রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম  এবং তাপ ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা পরীক্ষা করা হয়েছে সাফল্যের সঙ্গে।#

পার্সটুডে/নাসির মাহমুদ/১২

খবরসহ আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সব লেখা ফেসবুকে পেতে এখানে ক্লিক করুন এবং নোটিফিকেশনের জন্য লাইক দিন 

ট্যাগ