ইরান-ওমান যৌথ সামরিক কমিশনের বৈঠক: সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ
(last modified Sun, 14 Apr 2019 10:25:32 GMT )
এপ্রিল ১৪, ২০১৯ ১৬:২৫ Asia/Dhaka
  • ইরান-ওমান যৌথ সামরিক কমিশনের বৈঠক: সহযোগিতা জোরদারে গুরুত্বারোপ

ওমানের রাজধানী মাস্কাটে ইরান ও ওমানের যৌথ প্রতিরক্ষা কমিটির ১৫তম বৈঠক গতকাল (শনিবার) থেকে শুরু হয়েছে। আগামী ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত এ বৈঠক চলবে। ইরানের সামরিক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাদির নিজামি।

আন্তর্জাতিক সমুদ্র পথে বাণিজ্য ও তেলের জাহাজ চলাচলের জন্য সাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। তাই পারস্য উপসাগর, ওমান সাগর ও ভারত মহাসাগরে নিরাপত্তা জোরদারের বিষয়ে এই দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হবে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জরুরি হয়ে পড়েছে। সামরিক দিক দিয়ে ইরান এ অঞ্চলে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং শত্রুর যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় দেশটি পূর্ণ প্রস্তুত। নৌ শক্তিতে ইরান শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে এবং পারস্য উপসাগর থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পানিসীমায় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখতে পারে।

আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় ইরানের অবদান অনস্বীকার্য একটি বাস্তবতা। উদাহরণ হিসেবে ইরাক ও সিরিয়ায় দায়েশ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদের সহযোগিতা ও আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করা যায়। ইরানের সেনাবাহিনীর উপ সমন্বয়ক অ্যাডমিরাল হাবিবুল্লাহ সাইয়্যেরি বলেছেন, "অন্য কোনো দেশে আগ্রাসন চালানোর কোনো ইচ্ছা ইরানের কখনোই ছিল না। কিন্তু শত্রুর যেকোনো হুমকি মোকাবেলায় উপযুক্ত  জবাব দেবে তেহরান।"

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, সামরিক দিক দিয়ে ইরানের শক্তিসামর্থ্য থেকে বোঝা যায়, সামরিক ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে অন্য দেশকে সহযোগিতায় ইরান ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। হরমুজ প্রণালির দুই প্রান্তে অবস্থিত ইরান ও ওমান ভূ-কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ কারণে এ দুই দেশের সেনা কর্মকর্তাদের নিয়মিত বৈঠক আঞ্চলিক সহযোগিতা বিস্তার এবং এ অঞ্চলে বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে বাইরের হস্তক্ষেপ এ অঞ্চলের নিরাপত্তাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক জিম ওয়ালশ্‌ বলেছেন, "মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নানা ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে ইরানকে এ অঞ্চলের জন্য প্রধান হুমকি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা চালাচ্ছে।" অথচ ইরান সবসময়ই এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করে আসছে। যাইহোক, ইরান ও ওমানের মধ্যকার সামরিক সহযোগিতা আঞ্চলিক নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা ও সহযোগিতা জোরদারে অবদান রাখবে বলে সকলের প্রত্যাশা।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৪

 

ট্যাগ