ইরান ইস্যুতে খোদ মার্কিন কর্মকর্তারা তীব্র বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন
(last modified Fri, 17 May 2019 10:44:02 GMT )
মে ১৭, ২০১৯ ১৬:৪৪ Asia/Dhaka
  • ডোলান্ড ট্রাম্প ও ন্যান্সি পেলোসি
    ডোলান্ড ট্রাম্প ও ন্যান্সি পেলোসি

ইরানের বিরুদ্ধে হোয়াইট হাউজের হুমকি ও যুদ্ধকামী তৎপরতার বিরুদ্ধে শুধু যে মার্কিন কর্মকর্তারা ও ইউরোপীয় মিত্ররাই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তাই নয় একই সঙ্গে আমেরিকার অভ্যন্তরেও উদ্বেগ ও প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে।

আমেরিকার প্রতিনিধি পরিষদের প্রধান ন্যান্সি পেলোসি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার কোনো এখতিয়ার সরকারের নেই এবং কেবলমাত্র কংগ্রেসেই পারে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা এ বিষয়টি উপলব্ধি করবেন বলে আমরা আশা করি।

গত বছর ৮মে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। ইরানের জনমনে সরকারের প্রতি বিদ্বেষ সৃষ্টি এবং সামাজিক অসন্তোষ ছড়িয়ে দেয়াই ছিল দেশটির বিরুদ্ধে আমেরিকার অর্থনৈতিক যুদ্ধের প্রধান উদ্দেশ্য। শুধু তেল নয় অন্যান্য ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করে আমেরিকা। নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা ছাড়াও মার্কিন কর্মকর্তারা গত কয়েক সপ্তাহে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক হামলারও হুমকি দিচ্ছেন।

ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে পারস্য উপসাগরে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজ আব্রাহাম লিঙ্কন পাঠানো এবং মাইক পম্পেও ও জন বোল্টনের মতো উগ্র যুদ্ধবাজ কর্মকর্তাদের একের পর এক যুদ্ধের হুমকির কারণে আমেরিকাসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান ইস্যুতে খোদ মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যেই তীব্র মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। বহু মার্কিন কর্মকর্তা ইরাক ও আফগান যুদ্ধে আমেরিকার ব্যর্থতা এবং এসব যুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন, যুদ্ধবাজ ব্যক্তিরা ওয়াশিংটনের স্বার্থকে আগের চাইতে আরো বেশি হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছেন।

টিম কিন

ডেমোক্র্যাট দলের সিনেটর টিম কিন ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে বোকামি হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, পরমাণু সমঝোতা থেকে সরে এসে, ইরানের বিরুদ্ধে ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, নতুন করে বিমানবাহী যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করে ও কূটনৈতিক সমাধানের পথে না গিয়ে ওয়াশিংটনকে যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করানো হয়েছে।

এদিকে, ইরান বিরোধী যুদ্ধের উত্তেজনা ছড়ানোর কারণে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় যুদ্ধবাজ কর্মকর্তা জন বোল্টনের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন রটেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার অবস্থান থেকে পিছিয়ে এসে বলেছেন, তিনি যুদ্ধ চান না। তিনি আলোচনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শানাহানকে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ইরানের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ চান না। #

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৭

 

ট্যাগ