এই প্রথম ইরানে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহে বাধা দেয়ার কথা স্বীকার করল আমেরিকা
(last modified Sat, 14 Dec 2019 11:55:36 GMT )
ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯ ১৭:৫৫ Asia/Dhaka
  • এই প্রথম ইরানে ওষুধ ও খাদ্য সরবরাহে বাধা দেয়ার কথা স্বীকার করল আমেরিকা

পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আমেরিকা ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে এবং এখনো নতুন নতুন নিষেধাজ্ঞা দিয়ে যাচ্ছে। এতদিন ধরে ওয়াশিংটন দাবি দাবি করে এসেছে তারা ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞায় মানবিক বিষয়গুলো বিবেচনায় রাখে কিন্তু এখন তারা প্রকাশ্যে মানবিক বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইটে স্বীকার করা হয়েছে ইরানের জাহাজ চলাচলের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য হচ্ছে ইরানের মানবিক পণ্য সামগ্রী আমদানিতে বাধা সৃষ্টি করা। এতে আরো বলা হয়েছে, এসব পণ্যের মধ্যে কৃষি, খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে যে কোনো ব্যক্তি যদি এসব পণ্য সরবরাহে ইরানকে সহযোগিতা করে তাহলে তাদেরকেও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হবে।

২০১৮ সালে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সর্বাত্মক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে ইরানের বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে আমেরিকা। সেইসাথে অন্য কোনো দেশও যাতে  ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য অনবরত হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে, তেহরানের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটনের নীতি হচ্ছে হুমকি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মার্কিন নীতি মেনে চলতে বাধ্য করা। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ নীতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

গত বছর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও'র উত্থাপিত ১২টি প্রস্তাব মেনে নিতে ইরানকে  বাধ্য করারই এসব নিষেধাজ্ঞা চাপানো মূল উদ্দেশ্য। ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। কিছুদিন আগেও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করতেন ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞার তালিকায় খাদ্য ও ওষুধ রাখা হয়নি। কিন্তু মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় এখন প্রকাশ্যে স্বীকার করছে যে খাদ্য ও ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় গত বুধবার ইরানের জাহাজ ও মহন এয়ারলাইন্স এর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয় এবং এও বলেছে খাদ্য ও ওষুধসহ যে কোনো পণ্য ইরানে প্রবেশ করতে পারবে না। এর আগে আমেরিকা দাবি করতে ওষুধ ও খাদ্যের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। কিন্তু ইরানের কর্মকর্তারা বলতেন আমেরিকার ওই দাবি ছিল মিথ্যা। বরং পার্থক্য হচ্ছে এটাই যে ওই দুটি পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কথা আমেরিকা সরাসরি স্বীকার করল। এদিকে ব্লুমবার্গ চ্যানেল জানিয়েছে ইরান বিরোধী নিষেধাজ্ঞার আর কিছু বাকি নেই। তবে ইরানের কর্মকর্তারা বলেছেন, কঠোর নিষেধাজ্ঞা সত্বেও তারা মার্কিন চাপের কাছে নতি শিকার করবে না।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৪

ট্যাগ