নতুন বছরে ইরানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসছে
(last modified Tue, 31 Dec 2019 13:11:35 GMT )
ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯ ১৯:১১ Asia/Dhaka
  • ব্রায়ান হুক
    ব্রায়ান হুক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর ৮মে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের বিরুদ্ধে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছেন। এসব নিষেধাজ্ঞা নিষ্ফল হলেও আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরান অ্যাকশান গ্রুপের প্রধান ব্রায়ান হুক বলেছেন, ইংরেজি নতুন বছরেও ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। তিনি নিষেধাজ্ঞা আরো তীব্রতর করার হুমকি দিয়ে বলেছেন, ইরানের অর্থনীতিতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে এবং এতে ওয়াশিংটন সন্তুষ্ট। ব্রায়ান হুক আরো দাবি করেন, ইরানের অর্থনীতি এরই মধ্যে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং আগামী নতুন বছরে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ আরো বাড়ানো  হবে।

আমেরিকা বহুবার বলেছে, ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন বিষয়ে তেহরানের সঙ্গে নতুন করে এমন এক সমঝোতায় পৌঁছা যেখানে কেবল মার্কিন ইচ্ছা বাস্তবায়িত হবে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিকবার বলেছেন, ওয়াশিংটনের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করা এবং তেহরানের আচরণে পরিবর্তন আনতে বাধ্য করার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।

তবে ওয়াশিংটনের এ বিদ্বেষী আচরণ সত্বেও ইরান বহুবার বলেছে, মার্কিন অন্যায় দাবির কাছে তারা কখনো মাথা নত করবে না। এদিকে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ'র মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ইরানের অর্থনীতির ওপর নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব নেই এবং ইংরেজি নতুন বছরে দেশটির অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

ওয়াশিংটন আগে দাবি করত ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা মানবাধিকারের বিষয়টিকে আমলে নেয়া হয়। কিন্তু এখন তারা সরাসরি  মানবাধিকার বিষয়টিকে উপেক্ষা করার কথা বলছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাকে অর্থনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ এতে করে কেবল ইরানের সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

মার্কিন অর্থমন্ত্রণালয় স্বীকার করেছে ইরানের বাণিজ্যিক জাহাজের ওপর নতুন করে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে তার মূল লক্ষ্য হচ্ছে মানবিয় পণ্য সামগ্রী যাতে ইরানে প্রবেশ করতে না পারে। অর্থাৎ খাদ্য ও ওষুধের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে। অথচ কিছুদিন আগেও তারা খাদ্য ও ওষুধকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রেখেছিল।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, অন্যায় আবদার মেনে নিতে তেহরানকে বাধ্য করার জন্য ওয়াশিংটনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পাগলের মতো করছেন এবং বিন্দুমাত্র মানবিকতার ধার ধারছেন না।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/৩১

ট্যাগ