সামরিক হামলার জবাব সামরিকভাবেই দেয়া হবে: জাতিসংঘে ইরানি রাষ্ট্রদূত
(last modified Sat, 04 Jan 2020 09:36:14 GMT )
জানুয়ারি ০৪, ২০২০ ১৫:৩৬ Asia/Dhaka
  • মাজিদ তাখতে রাভানচি
    মাজিদ তাখতে রাভানচি

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের রাষ্ট্রদূত মাজিদ তাখতে রাভানচি বলেছেন, ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি'র কুদস ব্রিগেডের কমান্ডার মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যা করা ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল।

গতকাল (শুক্রবার) মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন’র আউট ফ্রন্ট অনুষ্ঠানে রাভানচি একথা বলেন। তিনি বলেন, আমেরিকা যে হামলা চালিয়েছে তা প্রকৃতপক্ষে ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে হামলা। তিনি আরো বলেন, এই হামলা একটি নতুন অধ্যায় যা ইরানের বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধের সূচনা করলো।

ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেন, “সামরিক হামলার জবাব সামরিক হামলা দিয়েই হয়; সেটা কখন, কিভাবে এবং কোথায় হবে ভবিষ্যতই তা বলে দেবে।”

শহীদ মেজর জেনারেল কাসেম সোলায়মানি

রাভানচি বলেন, যদি আমেরিকার কাছে এই প্রমাণ থাকে যে, মেজর জেনারেল সোলায়মানি মার্কিন স্বার্থে আঘাত হানার পরিকল্পনা করছিলেন তাহলে ওয়াশিংটনের উচিত তা প্রকাশ করা। সিএনএন’র এ অনুষ্ঠানে ইরানের রাষ্ট্রদূত পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় ইরান এই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার সব ধরনের অধিকার রাখে।

এর আগে, জাতিসংঘকে লেখা এক চিঠিতে রাভানচি বিশ্ব সংস্থাকে স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জেনারেল সোলায়মানি উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর ভয়াবহ বিপদ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের জনগণকে রক্ষা করেছেন। জেনারেল সোলায়মানি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অনুরোধেই সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন রাভানচি।

জাতিসংঘকে লেখা চিঠিতে তিনি আরো বলেছেন, “আমেরিকা দাবি করে থাকে তারা মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে কিন্তু জেনারেল সোলায়মানির ওপর হামলার ভেতর দিয়ে একথা পরিষ্কার হয়েছে যে, তারা মূলত তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে।”#

পার্সটুডে/এসআইবি/৪

ট্যাগ