রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম ডুবোজাহাজ যোগ দিল ইরানি নৌবহরে
-
ইরানি একটি ডুবোজাহাজ
রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম গাদির শ্রেণির ডুবোজাহাজ যোগ দিয়েছে ইরানের নৌবহরে । এর আগে, গাদির শ্রেণির ডুবোজাহাজের পুরোপুরি সংস্কার এবং মানোন্নয়ন করা হয়।
ইরানি নৌবাহিনীর কারখানার কমান্ডার ফ্লোটিলা অ্যাডমিরাল আব্বাস ফজলে-নিয়া জানান, গত কয়েক বছর ধরেই গাদির-শ্রেণির ডুবোজাহাজ তৈরি করছে ইরান। তিনি জানান, বিভিন্ন শ্রেণির ডুবোজাহাজ তৈরির প্রযুক্তির অধিকারী বিশ্বের হাতে গোণা কয়েকটি দেশের অন্যতম ইরান।

বিশ্বে ডুবোজাহাজকে ভারী, আধা-ভারী এবং হালকা এই তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবোজাহাজ হালকা শ্রেণিভুক্ত বলেও জানান তিনি।
গাদির-শ্রেণির ডুবোজাহাজের সুবিধার কথাও তুলে ধরেন তিনি। তিনি জানান, আকারে ছোট হওয়ায় গাদিরকে চিহ্নিত করা বা একে অনুসরণ করা সম্ভব নয়। শত্রুর জন্য কেনও আকারে ছোট ডুবোজাহাজ মারাত্মক হুমকি হয়ে দেখা দেবে তারও ব্যাখ্যা দেন অ্যাডমিরাল আব্বাস ফজলে-নিয়া । তিনি জানান, গাদিরে রয়েছে চৌকস টর্পেডো বা ডুবোবোমা। এ দিয়ে শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্ট ভাবে হামলা করা ও তা পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়া সম্ভব বলেও জানান তিনি।
ইরানের নৌবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পুরোপুরি নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি ডুবোজাহাজ গাদির বানিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এটি সামরিক মহড়ায় নামার কর্মসূচি রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডুবোজাহাজ বানানোর জন্য বিজ্ঞানে অত্যাধুনিক অগ্রসর এবং দক্ষ হতে হয়। কোনও দেশ ডুবোজাহাজ নির্মাণে সক্ষম হলে দেশটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হস্তগত করেছে স্বাভাবিক ভাবেই তা ধরে নিতে হবে।
২০১৮ সালে ইরানের নৌবাহিনীতে প্রথম গাদির-শ্রেণির দুটি ডুবোজাহাজ যোগ দেয়। এই দুই ডুবোজাহাজের সাগর থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ, ডুবোবোমা বা টর্পেডো ছোঁড়া এবং মাইন বসানোর সক্ষমতা রয়েছে।
পার্সটুডে/মূসা রেজা/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।