মার্কিনীরাই দুনিয়ার অপর প্রান্ত থেকে এসে এ অঞ্চলে সংকট সৃষ্টি করেছে: ইরান
(last modified Sat, 18 Apr 2020 12:44:12 GMT )
এপ্রিল ১৮, ২০২০ ১৮:৪৪ Asia/Dhaka
  • প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি
    প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি

ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমির হাতামি বলেছেন, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি এ অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সেনাবাহিনী দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেছেন।

পারস্য উপসাগরে মোতায়েন ইরানের যুদ্ধ জাহাজের ব্যাপারে পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সেন্টকম’র বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় তিনি আরো বলেছেন, 'এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ হচ্ছে আগ্রাসী মার্কিন সেনাবাহিনীর অযাচিত ও বেআইনি উপস্থিতি যারা কিনা দুনিয়ার আরেক প্রান্ত থেকে এখানে এসে অনর্থক কথাবার্তা বলছে।'

পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সেন্টকম’ গতকাল এক বিবৃতিতে দাবি করেছে ইরানের ১১টি যুদ্ধ জাহাজ আমেরিকার ছয়টি যুদ্ধ জাহাজের জন্য বিরক্তির কারণ হয়েছে। ‘সেন্টকম’র এ দাবির পর ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, 'মনে হচ্ছে মার্কিন নৌবাহিনী আমাদের পানিসীমায় তাদের পথ হারিয়ে ফেলেছে এবং পারস্য উপসাগরের নামও তাদের জানা নেই। অথচ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবির্ভাবের বহু আগে অর্থাৎ ২০০০ বছর ধরে 'পারস্য উপসাগর' নামটি প্রচলিত। তারা সাত হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে আমাদের ঘরের কাছে এসে কি করছে তা কি তাদের জানা নেই?'

পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনী ‘সেন্টকম’র বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও বলেছেন, 'আমরা আমাদের বাড়ির আঙিনার মধ্যে আছি বরং মার্কিনীরাই দুনিয়ার অপর প্রান্ত থেকে এসে এ অঞ্চলের দেশগুলোর জন্য হুমকি ও নানা ধরনের সংকট সৃষ্টি করেছে।'

ইরানের সশস্ত্র বাহিনী বহুবার মার্কিন কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তাদের যদি  সামান্য বুদ্ধিজ্ঞান থেকে থাকে তাহলে এটা বোঝা উচিত যে ইরানের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে নুন্যতম পদক্ষেপের জবাব ইরান কত কঠিনভাবে দেবে। গত বছর জুন মাসে আমেরিকার একটি গোয়েন্দা বিমান হরমুজগান প্রদেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে সেটিকে বিধ্বস্ত করে। এর আগেও মার্কিন জঙ্গিবিমান ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করলে ইরান সতর্ক করে দেয়ার পর ওই বিমান গতিপথ পরিবর্তন করে চলে যায়।

এ অঞ্চলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির পেছনে তিনটি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, ইরানকে এ অঞ্চলে নিরাপত্তাহীনতার মূল কারণ হিসেবে তুলে ধরা। দ্বিতীয়ত ইরান আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং তৃতীয়ত এ অঞ্চলে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়া।

আমেরিকার এ তিনটি অসৎ উদ্দেশ্য থেকে বোঝা যায় আমেরিকার আসল লক্ষ্য হচ্ছে এ অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টি করা এবং আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে নিরাপত্তা ক্ষেত্রে সহযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করা। এ অঞ্চলকে নিরাপত্তাহীন করার জন্য আমেরিকা এখন নতুন খেলায় মেতেছে। ইরানকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরে আমেরিকা নিজেকে এ অঞ্চলের দেশগুলোর রক্ষাকর্তা হিসেবে প্রমাণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে।# 

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

  •