ইরানের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় নারীদের সক্রিয় উপস্থিতি
(last modified Tue, 22 Oct 2024 14:53:39 GMT )
অক্টোবর ২২, ২০২৪ ২০:৫৩ Asia/Dhaka
  • ইরানের ন্যাশনাল পিপলস ফাউন্ডেশন অব দ্যা প্রোগ্রেস মুভমেন্টের  প্রধান কর্মকর্তা আতিফা সাঈদিনেজাদ
    ইরানের ন্যাশনাল পিপলস ফাউন্ডেশন অব দ্যা প্রোগ্রেস মুভমেন্টের  প্রধান কর্মকর্তা আতিফা সাঈদিনেজাদ

পার্সটুডে- ইরানের ন্যাশনাল পিপলস ফাউন্ডেশন অব দ্যা প্রোগ্রেস মুভমেন্টের  (National People's Foundation of the Progress Movement) প্রধান কর্মকর্তা আতিফা সাঈদিনেজাদ দেশটির সকল ক্ষেত্রে নারীদের কার্যকর উপস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।

ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর নারী শিক্ষার প্রসারে ব্যাপক উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়। এর ফলশ্রুতিতে নারীদের মধ্যে শিক্ষার হার ব্যাপকভাবে বেড়ে যায় এবং বর্তমানে উচ্চশিক্ষা অঙ্গনে ছাত্রীদের সংখ্যা ছাত্রদের তুলনায় বেশি। সার্বিকভাবে ইরানে বর্তমানে নতুন প্রজন্মের জ্ঞানী, শিক্ষিত ও সক্ষম নারীর সংখ্যা বেড়ে গেছে।  এদেশের নারীরা বিভিন্ন নির্বাহী ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার হাল ধরতে সক্ষম হয়েছেন। ইরানের ন্যাশনাল পিপলস ফাউন্ডেশন অব দ্যা প্রোগ্রেস মুভমেন্টের  প্রধান কর্মকর্তা আতিফা সাঈদিনেজাদের বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, ইরানের বিভিন্ন প্রদেশের তার সংস্থার ৩৭০টি দপ্তর রয়েছে।

ইরানি সমাজে নারীদের ভূমিকা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম খামেনেয়ী সব সময় বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের পৃষ্ঠপোষকতার ওপর জোর দিয়েছেন।

তিনি সমাজে উপস্থিতি এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষকে সমান ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সামাজিক কর্মকাণ্ডে উপস্থিতির ক্ষেত্রে নারীর জন্য কোনো সীমারেখা বা বিধিনিষেধ নেই।

ইমাম খামেনেয়ী নারী ও পুরুষদের ওপর সামাজিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব অর্পণ করার জন্য যোগ্যতাকে একমাত্র মাপকাঠি বলে মনে করেন এবং এই প্রেক্ষাপটে বলেন, মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের মতো পদে যদি একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ নারী থাকে তাহলে ইসলাম তাকে দায়িত্ব দিতে কার্পণ্য করে না।

ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের মানবাধিকার সদর দফতরের ‘ব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ’ শিরোনামের প্রতিবেদনটিও ইঙ্গিত করে যে ইরানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় লিঙ্গ বৈষম্য দূর করে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে।

ফার্সি ১৪০১ ও ১৪০২ সালে ওই দপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে, ১৪০১ সালের শেষ দিকে দেশটির সরকারি চাকুরিগুলোতে নিয়োজিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মোট সংখ্যা ছিল ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৩৯৭ জন। এদের মধ্যে ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৫৫৯ জন অর্থাৎ ৫৬% পুরুষ এবং নারীর সংখ্যা ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩৮ জন।

এই প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায়, ইরানের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কর্মী  নিয়োগের ক্ষেত্র লিঙ্গভিত্তিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে। #

পার্সটুডে/এমএমআই/জিএআর/ ২২

ট্যাগ