মার্কিন-ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি: ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে আমরা ঘুমাতে পারতাম না
-
ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত ইসরায়েলি ভবন
পার্সটুডে- দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করেন এমন একজন মার্কিন সেনা ইসরায়েলবিরোধী হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ভয়াবহতার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের ভয়ে আমরা ঘুমাতে পারি নি।”
পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্ক ওয়ার্নার নামের ওই মার্কিন সেনা ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধের বিষয়ে নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আরও বলেছেন,“ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র সবার মধ্যে এমন আতঙ্ক তৈরি করেছিল যে, কেউ-ই ঐ রাতগুলোতে ঘুমোতে পারছিল না।”
এই যুদ্ধের ভিন্নধর্মী অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে তিনি বলেন- রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা, আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছিল লোকে লোকারণ্য ও অন্ধকার, আর চারপাশে ছিল বড় বিস্ফোরণের অবিরাম আতঙ্ক—মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো সিনেমার ভেতর আটকে আছি।
ইহুদিবাদী গণমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল–এ প্রকাশিত এই প্রতিবেদন থেকে এটা স্পষ্ট- যুদ্ধের সময় ইসরায়েলে এমন এক অবস্থা হয়েছিল যে, সেখানে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ থেমে গিয়েছিল এবং মানুষকে দিনরাত কাটাতে হয়েছে সংকীর্ণ ও আলো-বাতাস বিহীন নিরাপদ কক্ষগুলোয়।
গত ২৩ বছরে বহুবার ইসরায়েরে সামরিক সংঘর্ষের সময় উপস্থিত থাকা মার্ক ওয়ার্নার বলেন, এই যুদ্ধ ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন: সমস্ত ইসরায়েল কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। রাস্তাঘাট ফাঁকা, স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ; মানুষ হয় নিজেদের ঘরে আটকে ছিল, নতুবা মেট্রো স্টেশন ও ভূগর্ভস্থ পার্কিংয়ে আশ্রয় নিয়েছিল।
ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের মানসিক প্রভাব বর্ণনা করে তিনি বলেন:“ক্ষেপণাস্ত্রগুলো বেশিরভাগই রাতে ছোড়া হতো, যাতে কেউ ঘুমোতে না পারে। বারবার আমাদের আশ্রয়কেন্দ্রে দৌড়াতে হয়েছে। বারো দিনের পরেও ঠিক মতো ঘুম আসত না।”
তিনি আরও জানান, আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষদের ওপর অন্ধকার, ভারী বাতাস এবং যে কোনো মুহূর্তে সরাসরি আঘাতের আতঙ্ক ছায়া ফেলেছিল।
তিনি আরও জানান, “মনে হচ্ছিল যেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কোনো সিনেমায় আছি— যেন সমুদ্রের গভীরে একটি সাবমেরিন, যার ওপর শত্রুর বোমা বৃষ্টি হচ্ছে।”
মার্ক ওয়ার্নার আশা প্রকাশ করে বলেন, “আমেরিকানদের যেন কখনো ইসরায়েলিদের মতো এমন যুদ্ধ নিজেদের দেশে অনুভব করতে না হয়।”#
পার্সটুডে/এসএ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।