আরএসএফ-এর দখলে সুদানের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র, অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা
-
র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএস)
পার্সটুডে: সুদানের র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) গত সপ্তাহে দেশটির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র দখল করেছে। এই তেলক্ষেত্রটি হেগলিগ এলাকায় অবস্থিত, যা সুদান ও দক্ষিণ সুদানের সীমান্তের কাছে।
সেখানে সুদানের কয়েকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্র ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রয়েছে—এর মধ্যে প্রায় ৭৫টি তেলকূপ, পাশাপাশি সংরক্ষণ ট্যাংক ও প্রক্রিয়াজাতকরণ স্টেশন অন্তর্ভুক্ত। যার মধ্যে প্রায় ৭৫টি কূপ এবং স্টোরেজ ট্যাঙ্ক ও প্রসেসিং স্টেশন অন্তর্ভুক্ত। সেখান দিয়েই একটি দীর্ঘ তেল পাইপলাইন গেছে, যা দক্ষিণ সুদান থেকে তেল এনে সুদানের পোর্ট সুদান বন্দরে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে তেল বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
মিডল ইস্ট আই-এর বরাতে পার্সটুডে’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হেগলিগ গ্রেট নাইল তেল পাইপলাইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এই পাইপলাইনের দৈর্ঘ্য প্রায় ১,৬০০ কিলোমিটার, যা দক্ষিণ সুদানের ইউনিটি তেলক্ষেত্র থেকে শুরু হয়ে পোর্ট সুদান পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে তেল আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করা হয়।
এই তেলক্ষেত্র দখল করার ফলে আরএসএফ এখন পশ্চিম কোরদোফান এলাকা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। এর ফলে সুদান ও দক্ষিণ সুদানের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে দক্ষিণ সুদানের ওপর। কারণ দক্ষিণ সুদান স্থলবেষ্টিত দেশ এবং তাদের অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি তেল রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।
আরএসএফ এখন আরও গুরুত্বপূর্ণ শহর আল-উবাইদের দিকেও অগ্রসর হতে পারে। সেখানে একটি তেল শোধনাগার রয়েছে এবং সুদানের সেনাবাহিনী সেখানে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।
একজন পশ্চিমা সামরিক বিশ্লেষক, নিরাপত্তা কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে মিডল ইস্ট আই-কে বলেছেন, তারা আরও আশা করছেন যে, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) দক্ষিণ সুদানের সীমান্তবর্তী আরও এলাকা দখল করবে, বিশেষ করে দক্ষিণ সুদানের আপার নাইল রাজ্যের আশেপাশে সুদানের সশস্ত্র বাহিনী থেকে।
সুদান এখন কার্যত দুটি অংশে বিভক্ত, সেনাবাহিনী উত্তর, পূর্ব এবং কেন্দ্রীয় অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে এবং পশ্চিম এবং তাদের মিত্রদের সহায়তায় দক্ষিণের কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে আরএসএফ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুদানের যুদ্ধ অস্ত্র ও ভাড়াটে সৈন্যের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে। অনেকে মনে করছেন, এই সংঘাত চলতে থাকলে সুদান লিবিয়ার মতো বিভক্ত একটি দেশে পরিণত হতে পারে।#
পার্সটুডে/এমএআর/১৪